
নিজস্ব সংবাদদাতা: ৮ - ১২ই এপ্রিল ২০২৫, মুর্শিদাবাদ। ওয়াকফ সংশোধন আইন নামক কাগুজে ড্রাগন এসে সুতি, ধুলিয়ান, শমশেরগঞ্জ, আর জঙ্গিপুরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। দোষ কেবল একটাই তারা হিন্দু। আইন সংশোধন অজুহাত মাত্র। আসল উদ্দেশ্য হলো রাজ্যকে হিন্দু শূন্য করে দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। ওয়াকফ সংশোধন আইনের প্রতিবাদে শান্তির ছেলেরা রাস্তায় নেমে বর্ষণ করেছে শান্তির মিঠাই “পাথর”। শান্তির টার্গেট ছিলো হিন্দুদের বাড়ি-দোকান।
শান্তির আগুনে জ্বলেছে ঘর বাড়ি ও সরকারি বেসরকারি সম্পত্তি। তিনজনের মৃত্যু সহ ৪০০-এর বেশি হিন্দু পরিবার ঘর ছেড়ে মালদায় আশ্রয় নিয়েছে— যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে বলিউড ফিল্ম The Kashmir Files!
টি এম সি নেত্রী মহুয়া মৈত্র হিন্দু পরিবারের পলায়ন নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তিনি রাতের অন্ধকারে তাড়াহুড়ো করে টুইট করে বলছেন। “আমরা ওয়াকফ সংশোধন বাংলায় আসতে দেবো না”।
ওদিকে বিজেপি চেঁচাচ্ছে, এই সব “জিহাদি সন্ত্রাস!” টি.এম.সি বলছে, “বাইরের লোকের ষড়যন্ত্র!” আর এই মাঝখানে আমাদের নায়ক ফিরহাদ হাকিম আর পুলিশের দার্শনিক কর্ম তৎপরতা নিয়ে আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন মুর্শিদাবাদ থেকে হিন্দু পলায়ন।
ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য: মানবতার মহাকাব্য
ফিরহাদ হাকিম, যিনি কলকাতার মেয়র, রাজ্যের পুরমন্ত্রী, আর তৃণমূলের সবার প্রিয় “ববি ভাই”, মুর্শিদাবাদের আগুন নিয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন যে মনে হবে তিনি কবি-ফিলোসফার হয়ে গেছেন! তিনি বললেন, “এখন রাজনীতি করার সময় নয়। দুষ্কৃতীদের কোনো রাজনৈতিক রঙ হয় না।” ওহ, কী গভীর উপলব্ধি!
যারা হিন্দু বাড়িতে পাথর ছুঁড়ে, দোকান পুড়িয়ে তাণ্ডব করল, তারা গ্রহান্তর থেকে এসেছে, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের কোনো যোগ নেই!
আরেকটু শুনুন। যখন সবাই বলছে শত শত হিন্দু পরিবার মালদায় পালিয়েছে, ফিরহাদের দার্শনিক জবাব: “তারা তো শুধু বাংলার মধ্যেই সরে গেছে।” মানে, পালানোটা যেন কোনো পিকনিক, শুধু এক জেলা থেকে আরেক জেলায় ছুটি কাটাতে গেছে! এই বক্তব্য শুনে মনে হয়, ফিরহাদ ভাই মুর্শিদাবাদের আগুনকে একটা “ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি” হিসেবে দেখছেন।
তিনি বললেন, “বিজেপির উসকানিতে কিছু মীরজাফররা এই ঝামেলা করছে।” হায়, মীরজাফরের নাম আরেকবার কলঙ্কিত হলো!
পুলিশের দার্শনিক ভূমিকা: দেখি, কিন্তু বলি না
পুলিশের তদন্তে এস.ডি.পি.আই-এর নাম উঠে এসেছে, যারা নাকি ওয়াকফ আইন নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে আগুনে ঘি ঢেলেছে। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে “বাইরের লোক” এসেছে বলেও গুঞ্জন।
কিন্তু পুলিশের দার্শনিক মুখ থেকে এসব নিয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। তারা বলছে, “আমরা তদন্ত করছি”, বাকিটা ব্রহ্মাণ্ড নিজেই সামলে নেবে।” ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ১১টি এফ.আই.আর দায়ের হয়েছে, কিন্তু হিন্দু পরিবারগুলোর পালানোর ভয় আর ক্ষতি নিয়ে পুলিশের মুখে কোনো কথা শোনা যায়নি।
ফিরহাদ ও পুলিশের দার্শনিক নাটক:
ফিরহাদের মানবতার বুলি আর পুলিশের নিষ্ক্রিয় দর্শন যেন এই সার্কাসের দুটো প্রধান অভিনেতা। ফিরহাদ বলছেন, “রাজনীতি করার সময় নয়,” কিন্তু তাঁর দলের নেতারা বিজেপিকে দায়ী করে ঠিকই রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ তদন্ত করছে, কিন্তু ৪০০ হিন্দু পরিবারের ভয় আর ক্ষতির জন্য কোনো স্পষ্ট জবাব নেই। মহুয়া মৈত্র শান্তির জন্য শান্তির ছেলেদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু ঘর পালানো ৪০০ পরিবারের কোনো সুরক্ষা নেই।
0 Comments: