সনাতন হিন্দু ধর্মে আদর্শ দিনচর্যা: শুদ্ধতা, শৃঙ্খলা ও আধ্যাত্মিকতা
সনাতন হিন্দু ধর্মে আদর্শ ও শিক্ষা |
বর্তমান যুগে, যখন ব্যস্ততা এবং অবহেলা আমাদের জীবনকে দখল করেছে, তখন শুদ্ধ জীবনধারার গুরুত্ব আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। এই অভ্যাসগুলো আমাদের সুস্থ, রোগমুক্ত, এবং আনন্দপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য একটি পথ প্রদর্শক।
শৌচ এবং পরিচ্ছন্নতা হিন্দু দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কেবল ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য নয়, মানসিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্যও অত্যাবশ্যক। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রে শৌচ ও নিষ্ঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। জলশৌচ, দন্তমঞ্জন, স্নান, এবং শুদ্ধ আহার গ্রহণের মতো নিয়মাবলী শুধুমাত্র শারীরিক পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে না, এটি আমাদের চিত্ত এবং মনকেও পবিত্র করে।
এই ব্লগ পোস্টে আমরা, প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রসম্মত নিয়মাবলী, এবং এগুলো কীভাবে আধুনিক জীবনযাত্রায় প্রাসঙ্গিক তা বিশদভাবে আলোচনা করব। পাঠকরা শুদ্ধতা এবং শৃঙ্খলিত জীবনযাপনের উপকারিতা সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি লাভ করবেন।
আরম্ভ শুভ হোক
ব্রাহ্মমুহূর্তে অর্থাৎ সূর্য্যোদয়ের এক ঘণ্টা পূর্ব্বেই শয্যা ত্যাগ করে শীতল জলদ্বারা চক্ষুদ্বয় উত্তমরূপে ধৌত করা কর্তব্য। মলমূত্রাদি ত্যাগের পর জলশৌচ করা প্রয়োজন।মৃত্তিকা ও জল দ্বারা হয় পরিষ্কার করা উচিৎ। যে বস্ত্র পরিধান করে মলত্যাগ করেছো, তাহা খুলে ফেলবে। নতুবা গামছা পরে পায়খানায় যাবে। পরে হস্তপদাদি ধৌত করবে। প্রস্রাবের পরেও জলশৌচ করা কর্তব্য; এ বিষয়ে আলস্য করিবে না। লিঙ্গ জল দ্বারা প্রস্খলন করা উচিত। তারপর হটু পর্যন্ত জল ঢেলে নিজেকে পবিত্র করা উচিত। একে বলা হয় বাহ্য শৌচ।
জলশৌচ শব্দটি সাধারণত হিন্দু ধর্মের একটি প্রাচীন শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি জল ব্যবহার করে দেহের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা এবং শৌচ কার্যক্রম শেষে শুদ্ধতা বজায় রাখার একটি পদ্ধতি।
এইরূপে বাহ্য শৌচ অবলম্বন করলে ক্রমে চিত্ত পবিত্র হয়। দন্তমঞ্জন দ্বারাই দাঁত পরিষ্কার করবে। দন্তকাষ্ঠ ব্যবহার করবে না। ফুলখড়িচূর্ণ এক ছটাক, সুপারীচূর্ণ এক ছটাক, লবণ এক ছটাক, ফিটকিরিচূর্ণ অর্দ্ধ ছটাক, শুঁট ও মরিচচূর্ণ অর্দ্ধ ছটাক এবং কপূর দশ রতি, এই সমস্ত দ্রব্য একত্রে উত্তমরূপে পেষণ ও মিশ্রিত করিয়া লইলেই উৎকৃষ্ট দন্তমঞ্জন প্রস্তুত হয়। ইহা বাজারের দন্তমঞ্জন অপেক্ষা স্বাস্থ্য ও ধনরক্ষাকারী। ইহা দন্তের অত্যন্ত হিতকর এবং মুখের ক্লেদ ও দুর্গন্ধনাশক। এতদ্দ্বারা প্রত্যহ দন্ত পরিষ্কার করিবে। জিবছোলা দ্বারা জিহ্বার ক্লেদ পরিষ্কার করিতে ভুলিবে না।
স্নানবিধি
প্রত্যহ বেলা এক প্রহরের মধ্যে অর্থাৎ বেলা নয়টার মধ্যেই স্নান করা অত্যন্ত হিতকর জানিবে। তৈলমর্দন কর্ত্তব্য নহে; কিন্তু যাহাদের অভ্যাস আছে, তাহাদের অগ্রে সর্ব্বশরীরে খাঁটি সর্ষপ তৈল উত্তমরূপে মদ্দন করিয়া স্নান করিতে হইবে। পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখে, নাসিকা, কর্ণ ও নাভিকুণ্ডের মধ্যেও তৈল দিবে। যদি সর্দি অর্থাৎ শ্লেষ্মাধিক্য না থাকে এবং শরীর ভারবোধ না হয়, তবে শীতল জলে অবগাহন স্নানই প্রশস্ত। কিন্তু শীতকালে যাহা শরীরের পক্ষে সুখস্পর্শ, এরূপ ঈষদুষ্ণ জলদ্বারা স্নান করিবে।
স্নানের সময় গাত্রমার্জনী দ্বারা সর্ব্বশরীর উত্তমরূপে মার্জন করিবে, পরে আর্দ্র বস্ত্র ত্যাগ করিয়া পরিষ্কৃত শুষ্কবস্ত্র পরিধান করিবে। পট্টবস্ত্র অর্থাৎ রেশমী কাপড় প্রশস্ত জানিবে, তদভাবে শুক্ল কার্পাসবস্ত্র ব্যবহার করা কর্তব্য। প্রত্যহ প্রাতে, মধ্যাহ্নে এবং সন্ধ্যার পূর্ব্বে স্নান করা বিধেয়। একবার মাত্র অভ্যঙ্গ স্নান অর্থাৎ সর্ব্বশরীরে তৈলমর্দ্দন স্নান করা বিহিত। যদি জ্বর ও সর্দি থাকে, তবে অবগাহন স্নান না করিয়া উষ্ণ জল দ্বারা গাত্র পরিষ্কার করিবে। পরে এক প্রহর অর্থাৎ তিন ঘণ্টা অন্তর এক-একবার সর্ব্বশরীর ভিজা গামছা দ্বারা মাজিয়া পুনরায় শুষ্ক বস্ত্র দ্বারা মুছিয়া ফেলিবে। বেলা ১২টা, ৩টা, ৬টা এবং রাত্রি ৯টার সময় এইরূপে প্রত্যহ গাত্র পরিষ্কার করা একান্ত কর্তব্য।
হোমবিধি
হোমের জন্য স্নানের পূর্ব্বেই একশত আটটী (১০৮) বিল্বপত্র সংগ্রহ করিবে। গ্রামান্তর হইতে অর্থাৎ স্বীয় বাসভবন হইতে অন্যূন অর্দ্ধক্রোশ অন্তরস্থ স্থান হইতে বিল্বপত্র সংগ্রহ করা কর্তব্য; কিন্তু কোন বিশেষ প্রতিবন্ধক থাকিলে স্বগ্রাম বা স্বভবনস্থ বৃক্ষ হইতেই বিল্বপত্র চয়ন করিবে। এই বিল্বপত্রগুলি স্বয়ং সংগ্রহ করিবে; অন্যকে স্পর্শ করিতে দিবে না। বিল্বপত্রগুলিতে জীবন্ত কীট (পিপীলিকা, মাকড়সা প্রভৃতি) না থাকে; অর্থাৎ উহাদিগকে পরিষ্কার করিয়া লইবে।
হোমের জন্য একখানি স্বতন্ত্র গৃহ অর্থাৎ যে গৃহে অন্যের যাতায়াতের প্রয়োজন নাই, এরূপ গৃহ হইলেই ভাল হয়। কিন্তু স্বয়ং সেই গৃহে রাত্রিকালে শয়ন করিবে। হোমের জন্য কাষ্ঠ (যে কোন কাষ্ঠ), একশত আটটা বিল্বপত্র, গব্য ঘৃত (অভাবে মহিষ-ঘৃত), ধূপ-ধুনা, ঘৃত প্রদীপ, চন্দন (শ্বেত বা রক্ত) এবং কুশাসন (অথবা অন্যরূপ আসন) আবশ্যক।
স্নানের পর বিশুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করিয়া শরীরে চন্দন লেপন করিবে এবং বিল্বপত্রগুলিও ঘৃতসিক্ত করিয়া লইবে। পরে শয়নগৃহে ঘৃত-প্রদীপ ও ধূপ-ধুনা জ্বালাইয়া কাষ্ঠগুলি চতুরস্রভাবে সজ্জিত করিয়া তাহাও জ্বালাইবে। অনন্তর কুশাসন বা অন্যবিধ পবিত্র আসনে উপবেশন করিয়া চিত্ত স্থির করতঃ চক্ষু মুদ্রিত করিয়া এইরূপ চিন্তা করিবে-
"এই গৃহ হইতে প্রেত, পিশাচ, যক্ষ, রাক্ষসাদি অনিষ্টকর দেবযোনিসকল পলায়ন করিয়াছে; এক্ষণে আমার এই ক্ষুদ্র কুটির মহাত্মা দেবগণ কর্তৃক পূর্ণ হইয়াছে। এখানে ইন্দ্রাদি দেবগণ উপস্থিত হইয়াছেন। আমার এই কুটিরে বিষ্ণুলোক, ব্রহ্মলোক ও শিবলোক হইতেও দেবগণ আবির্ভূত হইয়াছেন। আহা অদ্য আমার কি সৌভাগ্য উপস্থিত!"
এইরূপ চিন্তা করিতে করিতেই দেখিবে শরীর রোমাঞ্চিত, প্রাণ পুলকিত এবং ভক্তিভরে কণ্ঠ রূদ্ধপ্রায় হইবে।*
তখন উপস্থিত দেবগণের নিকট তোমার আন্তরিক প্রার্থনা জানাইবে এবং মন্ত্রজপপূর্ব্বক † অগ্নিতে ঘৃতসিক্ত বিল্বপত্র এক-একটি করিয়া প্রক্ষেপ করিবে।। বিল্বপত্রগুলি নিঃশেষিত হইলে দেবগণের নিকট পুনঃ প্রার্থনান্তে হোম সমাপ্ত করিবে। যে আসনে বসিয়া হোম করিবে, তাহা যত্নপূর্ব্বক তুলিয়া রাখিবে, অন্য কেহ যেন ঐ আসন স্পর্শ না করে; অন্যে স্পর্শ করিলে সেই আসন পরিত্যাগ করিয়া নূতন আসন গ্রহণ করিবে।
পরদিন প্রত্যুষে হোমীয় ভস্মাদি স্থানান্তরিত করিয়া গৃহটী উত্তমরূপে পরিষ্কৃত করিবে। গৃহের কোন স্থানে দুর্গন্ধ ও অপবিত্র দ্রব্য বা ময়লা না থাকে। হোমীয় দ্রব্যাদির সংগ্রহ এবং হোমগৃহ পরিষ্কার প্রভৃতি স্বয়ং করিবে, অন্যের প্রতি ভারার্পণ করিবে না। হোমগৃহে কাষ্ঠপাদুকা (খড়ম) ব্যবহার করিবে, যেহেতু রিক্তপদে কোথাও পদচারণ করা কর্তব্য নহে। অন্যত্র চৰ্ম্মপাদুকা ও ছত্র ব্যবহার করিবে। ফলতঃ যাহাতে শরীরের অনর্থক ক্লেশ হয়, তাহা করিবে না। অন্যের ব্যবহৃত বস্ত্র, গাত্রমার্জনী, পাদুকা ব্যবহার করিবে না।
* যদি এইরূপ রোমাঞ্চ ও আনন্দ না জন্মে এবং ভক্তির উদয় না হয়, তবে জানিবে, হোমগৃহে কোন অপবিত্র বস্তু আছে, অথবা তোমার শৌচ সম্বন্ধে কোন প্রকার গুরুতর দোষ ঘটিয়াছে; তাহা হইলে তৎ প্রতিকারে তৎক্ষণাৎ যত্নবান্ হইবে।
† দ্বিজগণ বৈদিক নিয়মে সন্ধ্যাকি ও হোমাদি করিবে এবং দ্বিজেতরগণ স্ব স্ব কুলদেবতার মন্ত্রে (দীক্ষা না হইলে দেবতার নামে) হোম করিবে।
আহার-বিধি
আহারশুদ্ধি ব্রহ্মচর্য্য-সাধনের সর্ব্বপ্রধান অবলম্বন। শরীরের জন্য এবং মনের জন্য যাহা গ্রহণ করা যায়, তাহার নাম আহার। শরীরের জন্য খাদ্য ও মনের জন্য বিষয় (অর্থাৎ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুসম্বন্ধীয় চিন্তা, যথা- রূপ, রস, গন্ধ, শব্দ, স্পর্শ ইত্যাদি) গ্রহণ করা যায়। অতএব আহারশুদ্ধি বলিলে সাত্ত্বিক খাদ্য ও সাত্ত্বিক চিন্তা বুঝিবে। এই উভয়বিধ আহার পরস্পর সাপেক্ষ, অর্থাৎ সাত্ত্বিক খাদ্য আহার না করিলে সাত্ত্বিক চিন্তারও সম্ভাবনা নাই এবং সাত্ত্বিক চিন্তার অভাবেও সাত্ত্বিক খাদ্য গ্রহণে রুচির সম্ভাবনা নাই। সাত্ত্বিক আহারই যাবতীয় সংসারদুঃখ দূরীকরণের একমাত্র উপায়। অতএব আহারশুদ্ধি বিষয়ে বিশেষ যত্ন আবশ্যক। লোভ ও কুচিন্তা পরিত্যাগ না করিলে আহারশুদ্ধির সম্ভাবনা নাই। শরীরের পুষ্টি, বল ও আরোগ্যের জন্যই খাদ্যগ্রহণ আবশ্যক। ফলতঃ রসনার ক্ষণিক তৃপ্তি আহারের উদ্দেশ্য নহে। এই কথা স্মরণ রাখিলে লোভ সহজেই ত্যাগ করা যায়।
(সাত্ত্বিক খাদ্য সমাহিতচিত্তে মৌনাবলম্বনপূর্ব্বক ভগবানের উদ্দেশ্যে নিবেদন করিয়া প্রসাদস্বরূপ ভোজন করিবে। খাদ্য দ্বারা পাকস্থলীর অর্দ্ধেক এবং বিশুদ্ধ পানীয় দ্বারা পাদাংশ পূরণ করিবে, অবশিষ্ট পাদাংশ বায়ুসঞ্চালনের জন্য রাখিবে। ফলতঃ আকাঙ্ক্ষা থাকিতেই ভোজন সমাপ্ত করিবে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার রাত্রে ভোজন করা বিধেয় নহে। একাদশী তিথিতে অন্নাহার না করিয়া এক বেলা ফলমূল, দুগ্ধ ও আটা খাওয়া কর্তব্য।
(যে সকল খাদ্য আয়ু, সত্ত্বগুণ, বল ও আরোগ্য, সুখ এবং প্রীতি বর্দ্ধন করে, সেই সকল খাদ্যই সাত্ত্বিক। যথা-দুগ্ধ, ঘৃত, শর্করা প্রভৃতি।
অতি কটু, অত্যন্ন, অতি লবণ, অত্যুষ্ণ, অতি তীক্ষ্ণ, অতি রুক্ষ এবং শীতলাবস্থাপ্রাপ্ত (বাসী), রসহীন (শুষ্ক), দুর্গন্ধ, পূর্ব্বদিনপক্ক (পচা বা পান্তা), উচ্ছিষ্ট (অন্যের ভুক্তাবশিষ্ট) প্রভৃতি অপবিত্র খাদ্যই তামসিক।
আর মৎস্য, মাংস, ডিম্ব, মাদক দ্রব্য, পেঁয়াজ, রসুন প্রভৃতি রাজসিক।
সাত্ত্বিক খাদ্যই আহার করিবে। কিন্তু সাত্ত্বিক খাদ্যও অধিক পরিমাণে গ্রহণ করিবে না। কেননা ক্ষুধানিবৃত্তির জন্য যে পরিমাণ খাদ্য আবশ্যক, তাহার অতিরিক্ত পরিমাণ দ্রব্য গ্রহণ করিলেই অনিষ্ট হইবে। সুতরাং এরূপ ক্ষেত্রে সাত্ত্বিক খাদ্যও রাজসিক এবং তামসিক খাদ্যের ন্যায় কুফলজনক হইবে। এই জন্য মিতাহার কর্তব্য এবং মিতাহারের জন্য আহার-বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকা আবশ্যক। সেই জন্যই "আকাঙ্ক্ষা থাকিতে ভোজন সমাপ্ত করিবে।” অর্থাৎ আরও কিছু খাইলে উদরের পাদাংশ (চতুর্থাংশ) খালি থাকিবে না, পূর্ণ হইয়া যাইবে, অতএব আর খাইব না, এইরূপ মনে করিয়াই ভোজনক্রিয়া শেষ করিবে।
মোহান্ধ মানবগণ আহারের উদ্দেশ্য বিস্মৃত হইয়া রসনার ক্ষণিক তৃপ্তিসাধন করিবার জন্য অসংখ্য দ্রব্যের স্বাদগ্রহণে লোলুপ হয়; সেই জন্যই জগতে মানুষের অখাদ্য প্রায় কিছুই দেখা যায় না এবং তজ্জন্যই জগতে অসংখ্য রোগেরও প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। যাহা হউক, তামসিক ও রাজসিক খাদ্য কখনও আহার করিবে না এবং সাত্ত্বিক খাদ্যের মধ্যেও অত্যল্প নিৰ্দ্দিষ্টসংখ্যক আহার্য্য বলিয়া স্থির করিবে। নিতান্ত অভাবগ্রস্ত না হইলে সেই নিদ্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করিবে না।
0 Comments: