ওয়াখব সম্পত্তির বিবাদ হাই কোর্টে বিচারপতি এমন কি বললেন? এডভোকেট নীরব হয়ে গেলেন।
আজ থেকে তিন মাস আগের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে ভাইরাল হচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে তাজমহল কে ওয়াকফ সম্পত্তি দাবি করায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মাননীয় শ্রী গোপাল সিং অ্যাডভোকেট কে ধমকে দিলেন। বিচারপতি এমন প্রশ্ন করলেন, এডভোকেট নীরব হয়ে রইলেন। আসলে কি হয়েছিল, আসুন জেনে নিন।
ঘটনার বিবৃতি
আজ থেকে তিন মাস আগের হাইকোর্টের কোর্টের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে ভাইরাল হচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে তাজমহল কে ওয়াকফ সম্পত্তি দাবি করায় প্রধান বিচারপতি মাননীয় শ্রী গোপাল সিং ধমকে অ্যাডভোকেট আগরওয়াল কে প্রশ্ন করলে, "যাকে আপনি ওয়াকফ প্রপার্টি বলে দাবি করছেন, সেই স্থাবর সম্পত্তি তো ভারতের আর্কিওলজি, এবং ন্যায় দ্বারা সুরক্ষিত। আপনি কিভাবে তাকে হাত লাগাতে পারেন‽"
অ্যাডভোকেট আগরওয়াল পুনরায় ওয়াকফের মালিকানার কথা বললেন। জবাব দে মাননীয় বিচারপতি বললেন, "মালিকানা তে আমি পরে কথা বলব। আগে বলুন, প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান আইন দ্বারা সংরক্ষিত জমিতে আপনারা হাত কিভাবে দিতে পারেন?"
এডভোকেট আগরওয়াল পুনরায় ওয়াকফের মালিকানার কথা বললেন। তিনি বললেন ,"এটা ওয়াখ়িপ আইন দ্বারা সুরক্ষিত"। বিচারপতি আবার বললেন, "মালিকানার কথা আমি পরে শুনবো। আপনি বলুন কিভাবে আপনারা হাত লাগাতে পারেন? ৮৯ তে এটি ওয়াখ়ব সম্পত্তি কিভাবে হয়ে গেল? তার পূর্বে তো এটি প্রাচীন স্মৃতিসম্ভব এবং প্রত্নতাত্ত্বিক আইন দ্বারা পূর্বেই সংরক্ষিত ছিল?"
এরপর, বিস্তারিত ডিবেট চলতে থাকে। অ্যাডভোকেট মহাশয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা বলে যাচ্ছিলেন। ওয়াখব আইন দ্বারা সংরক্ষিত। কোর্টের বিচারপতি এবার বিরক্ত হয়ে এডভোকেট কে যে প্রশ্নটি করলেন, তারপর আর কিছুই বলার বাকি থাকে না। এডভোকেট নিরুত্তর হয়ে গেলেন।
তিনি বললেন, "কাল যদি আগ্রাওয়াল স্যারের সরকারি দপ্তরকে ওয়াখ়ব সম্পত্তি বলে দাবি করে বসে, এগ্রোভাল স্যারকে কি আমরা সেই সম্পত্তি থেকে বের করে দেব?... আমার সরাসরি প্রশ্ন। কাল যদি কেউ আপনার সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করে, এটা কি তার হয়ে যাবে? নাকি এর উপরে কোন নির্দিষ্ট প্রসিডিওর আছে?"
বিচারপতি আরও বলেন, "এই প্রাচীন স্মৃতিসৌধ গুলো, শুধু একটি বিল্ডিং বা স্থাপত্য নয়। এর এক একটা ইট ইতিহাসের কথা বলে। আজকের ইঞ্জিনিয়ার গুলো কম্পিউটার সিমুলেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে, সেই সময়ে কম্পিউটার ছিলনা। এত বড় বড় স্থাপত্য এমন ভাবে তৈরি হয়েছে, যদি একটা ইট সরিয়ে ফেলা হয়, তাহলে সম্পূর্ণ স্থাপত্য টাই পড়ে যাবে। আজকের ইঞ্জিনিয়ার কিসের রকম তৈরি করতে পারবে? এগুলোর সাথে, দেশের ইতিহাস সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। ....."
দীর্ঘ এই আলোচনা শোনার পর। অ্যাডভোকেট আগারওয়াল অনেকক্ষণ চুপ হয়ে থাকলেন। এবং বিচারপতি কোন যথাযথ উত্তর না পাওয়ায় ক্লেম ডিসমিস করে দিলেন।
0 Comments: