ভারতে গো রক্ষা আন্দোলন হয়, অথচ গরুর মাংসরফতানি করে ভারত ১ম অবস্থানে , কিভাবে সম্ভব?
ভারতে গো রক্ষা আন্দোলন হয়, অথচ গরুর মাংস রফতানি করে ভারত ১ম অবস্থানে। এটা শুনতে খারাপ লাগে এবং এই খবর সম্পূর্ণ ভুল। আসলে ভারত গো মাংস নয় বরং মহিষের মাংস রপ্তানি তে ১ম অবস্থানে আছে। যদিও হিন্দু অধ্যুষিত ভারতে একটি বিরাট আপত্তিক ব্যাপার। কিন্তু ভুললে চলবে না ভারত একটি সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের দেশ। তাই, এই দেশের মানুষ নিজ নিজ এলাকায় কি করেছে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত। এই দেশ দেশীয় সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
"বাংলাদেশি মুসলিমরা গরুর মাংসকে সু খাদ্য মনে করে এবং পাকিস্তানিরাও গরুর মাংস খায় তবে অতটা না, যতটা বাংলাদেশি মুসলিমরা খেতে পছন্দ করে ।" কোরা নামক সোস্যাল মিডিয়ায় এমনই মন্তব্য লিখেছেন মাহমুদ আলী নামক এক বাংলাদেশি ব্লগার।
বাংলাদেশিদের গরুর মাংসের সাথে সাথে তারা মুরগীর মাংসও খায়। ভারতীয়রা যে গরুর মাংস একেবারই খায় না, সেটা ঠিক না। ভারতের পশ্চিম বাংলা, আসাম ও দক্ষিন ভারতের ভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষরা গরুর মাংস খায়।
কেরালা রাজ্যে মুসলিমরা তো গরুর মাংস খায়, অনেক হিন্দুরাও অনেকে খায়। কারণ সেখানে বাম পন্থ বিচার ধারার লোক বেশি। তারা ধর্মের চাইতে নিজের খাদ্যাভ্যাসকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোতে আইন করে গরু হত্যা করা নিষিদ্ধ করা আছে কিন্তু কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে আইন করা যাচ্ছে না বিধায় ভারতে সব রাজ্যে গরু জবাই করা নিষিদ্ধ না।
অনেক হিন্দুরা যখন সেই মাংস খায়, তখন লুকিয়ে একটা নিষিদ্ধ জিনিসের স্বাদ নেয়ার জন্য কেউ কেউ খায়। হিন্দু হোটেলে গরুর মাংস পাওয়া যায় না।
ভারতের ডেয়ারি ফ্যাক্টরী গুলো বুড়া গরুকে রাস্তায় বেওয়ারিশ হিসেবে ছেড়ে দেয়, কিংবা কিছু কিছু নির্বোধ হিন্দু আছে তারা নিজেরা গরু জবাই না করলেও বয়স্ক গরুগুলো মুসলিমদের কাছে বিক্রি করে দেয়। নির্বোধ হিন্দু এই জন্য বলছি, কারণ তারা গোরুর মূল্য বোঝে না। গো সম্পদ সদ পাত্রে দান করতে বলা হয়েছে।
গরুর সাথে হিন্দুদের সবচেয়ে বেশি আবেগ জড়িত। হিন্দু ধর্মে অনেক দেব দেবী আছে। তাদের মধ্যে এক দেবীর নাম দেবী ভূ-দেবী বা পৃথিবী। এই দেবীর নামেই বিশ্বকে পৃথিবী নামে ডাকা হয়।
0 Comments: