Headlines
Loading...
Riddles in Hinduism: হিন্দু কে বা কারা?

Riddles in Hinduism: হিন্দু কে বা কারা?

There is a book named Riddles in Hinduism By Babasaheb B. R. Ambedkar. This book has Three Parts.  First part discussed about Religion, Second Part is about Socity and Third Party is about Politics

মনে করুন আপনাকে প্রশ্ন করা হলো "প্রমাণ করুন বিক্রম আপনার বাবা?"

আপনার উত্তর হবে বিক্রম নামক ব্যাক্তি আমাকে ছোটো বেলা থেকে লেখাপড়া শিখিয়ে বড়ো করে তুলেছেন। সবাই আমাকে তাঁর ছেলে বলে জানে। আমার ধমনীতে তাঁর রক্ত বইছে। তাই তিনিই আমার বাবা। 

কিন্তু প্রশ্নকর্তা আপনার এই উত্তরে সন্তুষ্ট নন। এই যুক্তি গুলো সঠিক হবে যে, "না তুমি বিক্রমের ছেলে হতে পারো না, কারন তুমি সুতপার সন্তান।", "সে আপনাকে কোলে পিটে করে বড় করেছে বলেই আপনি তার সন্তান হতে পারেন না। কারণ অনেক সময় কাকা, মামা, মাসী দাদারাও আপনাকে কোলে পিটে করে বড় করেছে।", "তোমার শরীরের শুধু বিক্রম নয়, বিক্রমের বাবা, তাঁর ঠাকুরদা,  সুতোপার বংশের রক্তও বইছে।" 

আপনি ভাবছেন আমি কি গাঁজা খেয়ে আজেবাজে বকছি। না আমি নয় Dr. B. R. Ambedkar বিরচিত Riddles in Hinduism নামক বইটির একটি তুলনামুলক যুক্তি গুলো কে উপমার দ্বারা পেশ করেছি। যাতে আমার বক্তব্য বুঝতে সুবিধা হয়। এটা আদৌ Ambedkar বিরচিত কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে।

এই বইটি তিনটি তিনি ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম ভাগের প্রথম ধাঁধা, "একজন হিন্দু নিজেকে হিন্দু কিভাবে বলবে ?" এই নিয়ে তিনি তার ওই বইয়ে কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।

প্রথম অধ্যায়টি হিন্দুর পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করে। লেখক উল্লেখ করেছেন, "খ্রিস্টান, মুসলিম, পার্সি এদের সকলকে যদি আপনি প্রশ্ন করেন এরা কেনা খ্রিস্টান, মুসলিম, পার্সি। তাঁদের কাছে খ্রিস্টান, মুসলিম, পার্সি হাওয়ার স্পষ্ট জবাব থাকবে। কিন্তু যদি একজন হিন্দুকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় এতে সন্দেহ নেই যে একজন হিন্দু সম্পূর্ণরূপে বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন এবং কী বলতে হবে তা বুঝতে পারবেন না।"

হিন্দুদের বিভ্রান্তকর উওর 

লেখক নিজের মতো করে হিন্দু ধর্মের সকল সম্ভাব্য জবাব গুলোকে অস্বীকার করেছেন। তিনি লিখেছেন:

  1. যদি সে বলে যে সে হিন্দু কারণ, সে একই ঈশ্বরের পূজা করে যেমন সকল হিন্দু সম্প্রদায় করে। তার উত্তর সত্য হতে পারে না। সমস্ত হিন্দু এক ঈশ্বরের উপাসনা করে না
  2. যদি সে বলেন যে সে হিন্দু কারণ সে অন্যান্য হিন্দুদের মতো একই রীতিনীতি পালন করেন তার উত্তর সত্য হতে পারে না। সব হিন্দুদের একই রীতিনীতি পালন করে না
  3. আবার যদি সে বলেন যে সে হিন্দু কারণ সে জাতিভেদে বিশ্বাস করে। তার এই উত্তর সন্তোষজনক হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না। বর্ণপ্রথার একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য হিন্দুধর্ম, এবং যে ব্যক্তি স্বীকৃত হিন্দু বর্ণের অন্তর্গত নয় সে হিন্দু হতে পারে না

যুক্তি খন্ডন:

এই তিনটি আক্ষেপ হিন্দুকে হিন্দু পরিচয় দেয় না এমনটা একেবারেই নয়। "সমস্ত হিন্দু এক ঈশ্বরের উপাসনা করে না", "সব হিন্দুদের একই রীতিনীতি পালন করে না।" এখানেই তিনি একটি শব্দ ব্যবহার করেছেন "সমস্ত হিন্দু বা সব হিন্দু"। অর্থাৎ তিনি এটা জেনেও হিন্দুকে তাঁর হিন্দু পরিচয় থেকে আলাদা করে দেখাতে চান। হিন্দুরা বিভ্রান্ত নয়, আসলে তিনিই বিভ্রান্ত। 

তিনি আরো বলেছেন, "যে ব্যক্তি স্বীকৃত হিন্দু বর্ণের অন্তর্গত নয় সে হিন্দু হতে পারে না।" এটা বুঝতে পারলাম না। হিন্দু অন্তর্গত নয় এমন কোনো বর্ণ আছে কি? যে বর্ণের অন্তর্গত নয় সে তো এমনিতেই ম্লেচ্ছ, যবন বলে পরিচিত। তাহলে তো সে এমনিতেই নিজেকে হিন্দু বলবে না। কারণ তিনিই বলেছেন "বর্ণপ্রথার একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য হিন্দুধর্ম"।

বর্ণপ্রথা তিনি হিন্দু ধর্মের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য বলছে অথচ নিজেই সেই বর্ণ অন্তর্গত ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত বলছেন। ☺️ কোনটা মানবো?

হিন্দু এক ঈশ্বরের উপাসনা করে না — তাই হিন্দু হিন্দু নয়

যে সমস্ত হিন্দু এক ঈশ্বরের উপাসনা করে না, সে হিন্দু নয় এরকম যুক্তির কোনো অর্থ নেই। বহু উপাসনা করেও একজন হিন্দু ততটাই হিন্দু যতটা এক ঈশ্বরের উপাসনা করে একজন হিন্দু নিজেকে হিন্দু বলে মানে।

হ্যা কিছু হিন্দুদের মধ্যে কেউ একেশ্বরবাদী, কেউ নাস্তিক এবং কিছু কিছু ধর্মবাদী। এমনকি যে হিন্দুরা একেশ্বরবাদী তারাও একই দেবতার উপাসক নয়। 

কেউ ভগবান বিষ্ণু, কেউ শিব, কেউ রাম, কেউ কৃষ্ণকে পূজা করে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেই দেবতাই তাঁর ইষ্ট দেবতা। আবার এটাও সত্য যে মূলে তারা এক। "একম স বিপ্র বহুধা বদন্তি" — একই ঈশ্বরকে বহূ রুপে বহু নামে জ্ঞানীরা জানেন।

পরিশিষ্ট:

কারণ হিন্দুর কোনো ধর্ম প্রবর্তক নেই, যার দ্বারা এই ধর্মমত প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তাই হিন্দু ধর্ম কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম নয়। এমন কোনো হিন্দু নেই যারা একটি দেবী বা দেবতার পূজা করে বা একটি ধর্ম পুস্তক মেনে চলে। আমি নিজেকে হিন্দু বলে জানি, এটাই যথেষ্ট।

Himadri Roy Sarkar always had a passion for writing. When he was younger, he would often write stories and share them with his friends. He loved the way that writing could bring people together and share ideas. In 2022, he founded The Hindu Network,The site quickly became popular, and Himadri was able to share his writing with people all over the world. The Hindu Network is now one of the most popular websites in the world, and Himadri is a well-known author and speaker. blogger external-link facebook instagram

২টি মন্তব্য