সতীদাহ প্রথা —এই শব্দের মধ্যে একটি ঔনিবেশিকতার শব্দের কারচুপি লুকানো আছে। শব্দটিকে বহু ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। কোথাও বলা হয়েছে স্বামীর সম্পত্তি থেকে স্ত্রীর অধিকার চ্যুত করতে, কথাও বলা হয়েছে বিধবা নারীরা নিজেকে স্বামী অনুরাগী প্রমাণ করতে, কোথাও বলা হয়েছে সমাজের অন্ধ বিশ্বাস কুসংস্কারের বলি... ইত্যাদি যুক্তি ও কারণ দেখানো হয়েছে। কিন্তু এর সাপেক্ষে কোনো শক্ত প্রমাণ প্রস্তুত করতে পারেনি। যারা নিজের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্যের লেখা ইতিহাসের গুরুত্ব দেয় তারা মানসিক দাসত্বের শিকার।
যারা নিজেদের চক্ষুস প্রমাণ, অভিজ্ঞতা এবং শাস্ত্রীয় সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্যের লেখা ইতিহাসের গুরুত্ব দেয়। তারা নিশ্চিত মূর্খ এবং মানসিক দাস।
যদি অন্ধবিশ্বাস কুসংস্কার-ই হয়, তবে সেই বিশ্বাস বা সংস্কারের উৎস কি? এমনি এমনি তো বিশ্বাস সংস্কার জন্ম হয় না। যেমন খ্রিষ্টানদের ধারণা "পশুদের আত্মা থাকে না, ঈশ্বর কেবল মানুষকেই আত্মা দিয়েছেন"। তাই পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও পশু মানুষের উপভোগের জন্য। তার ওপর ‘পবিত্র আত্মা’ কেবল খ্রিষ্টানদের কাছেই আছে। যারা পবিত্র আত্মা নেই, তার আত্মা বিচারের দিনে রক্ষা পাবে না। এই ধারণা থেকেই তারা ধর্মহীন বা অ-খ্রিষ্টানদের শয়তানের দাস বা পাপী, বলে মনে করতো। আবার যেহেতু ইশ্বর পূরুষের বুকের হার থেকে নারীকে সৃষ্টি করেছেন তাই নারী পূরুষের অধীন থাকবে। এই ধারনাও তাদের মধ্যে আছে। তাই নারীর পূজা বা সেবা করা পূরুষের কর্তব্য নয় —এটা তাদের সংস্কার।
আবার, মুসলিমরা মনে করে কাফের, মুনাফিক বা অমুসলিম সে যতই ভালো মানুষ হোক না কেন, জাহান্নামে সে যাবেই। তাই কাফের, মুনাফিক, বা অন্য দেবতার উপাসকদের সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত নয়। ইহুদি বিশ্বাস ঘাতক, তারা শক্রু হোলো ইসলামের শত্রু। তাই বিশ্বাস ঘাতক বা মুনাফিকদের হত্যা করা পাপ নয়।
"স্বামী মৃত্যু হলে স্ত্রীকে চিতায় উঠতে হবে বা স্বামীর মৃতুতে বিধবার দহন করা আবশ্যক।" —এমন কথা কোথাও লেখা আছে কি? অমুক ঐতিহাসিক অমুক বইয়ে লিখেছেন। অমুক অমুক ঘটনার উল্লেখ আছে। এগুলো ভিত্তিহীন। সতী শব্দটি বিভিন্ন শাস্ত্রে "সতী নারী" হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। বহু হিন্দি ও সংস্কৃত গ্রন্থে যে সতী নারীর চিত্র-চরিত্র ফুটে উঠেছে, যেখানে এটি "নিষ্ঠাবতী সহধর্মিণী" বা “স্বামী অনুরাগী” এর সমার্থক।
ষড়যন্ত্রকরীরা সতীদাহ এই শব্দটির ব্যবহার ‘সতীমাতা’ শব্দের পরিবর্তে করেছে। ‘সতীমাতা’ শব্দের অর্থ হলো— 'যে নারী স্বামীর আগে মৃত্যু বরণ করেছেন' বা 'স্বামীর মৃত্যুর পর শোকে বা সেচ্ছায় দেহ ত্যাগ করেছেন'।
আজও আমাদের গ্রামে এবং বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এরকম নারী যার মৃত্যু স্বামীর আগে হয়েছে তাঁর সিঁদুর ওই অঞ্চলের সধবা স্ত্রীরা নিজের সিথিতে গ্রহন করে। এর পেছনে সাংস্কৃতিক যুক্তি হলো, স্বামীকে বাঁচিয়ে নিজেকে তিনি মৃত্যুর হার গ্রহন করেছেন। সেচ্ছায় দেহ ত্যাগ বা সহগমন (সাথে যাওয়া) বা সহমরণ (সাথে মারা যাওয়া)। এরকম ঘটনা আজকাল দেখা যায় না। সেচ্ছায় প্রাণ ত্যাগ করার সেই যোগ ক্ষমতা আজ নেই।
দেহ সৎকার
পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ইহুদী, খৃষ্টান এবং ইসলম ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন প্রথা আছে। তাদের মৃতদেহ মাটিতে কবর দিয়ে সৎকার হয়। হিন্দুদের আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার নিয়ম আছে। হিন্দুদের মধ্যে নবজাতক শিশু, সন্ন্যাসী এবং পশুদের কবর দেওয়া হয়। জরাস্ট্রিয়ান ধর্মের লোকেরা নিজেদের পরিজনের মৃত দেহ কাক পক্ষির জন্য উচু স্থানে রেখে দেয়। কারণ তাদের মতে তাদের ঈশ্বর 'আহরা মাজদা' পক্ষী রূপে এসে তাঁকে গ্রহণ করবে। বর্তমানে অনেকেই মৃত্যুর পর দেহ দান করে। ওই দেহ বিজ্ঞানের বা মেডিক্যাল কলেজে রাখা হয়।
এগুলো বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধর্মের দেহ সৎকারের প্রথা। আপনি কোনটিকে কু-প্রথা বলবেন? ইহুদী, খৃষ্টান এবং ইসলম তাদের মৃতদেহ মাটিতে কবর দেয়। আপনি কি তাদেরকে বলতে পারেন মাটির নিচে মৃতদেহ দম বন্দ হয়ে যাবে বা পচে গিয়ে পোকা মাকড় খাবে। জরাস্ট্রিয়ান অথবা দেহ দান করা লোকেদের নৃশংস কু-সংস্কারি বলবেন?
মহাভারতে সতীদাহ
এক সময়, নিজের সতীত্ব, মর্যাদা রক্ষায় অনেকেই আত্মদাহ, বা জল সমাধি করতো, যেমন মহাভারতের মাদ্রী পান্ডুর সঙ্গে চিতায় সহ মরনে গিয়েছিল, কিন্তু কুন্তী তো বিধবার নিয়ম মেনে পাণ্ডবদের সঙ্গেই বাস করেছিলো। যদি সতীদাহ প্রথা যদি হিন্দুধর্মে সত্যি বলতে থাকতো, তবে কুন্তিকেও আগুনে পুড়ে মরতে হত ।
রামায়ণে সতীদাহ
ভগবান শ্রী রাম, ভরত এবং তাঁর রাজ্যের বহু ভক্ত এবং দিব্য আত্মা জল সমাধি নিয়ে দেহ ত্যাগ করেছিলেন। তারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে স্বেচ্ছামৃত্যু বরন করে ছিল। শ্রীরামকে জোর করে জলে ফেলে দেওয়া হয়নি।
আধুনিক যুগে
রানী পদ্মাবতী খিলজীর হারামে গনিমতের মাল হিসাবে দাসী হয়ে জীবিত থাকার চেয়ে হাজার হাজার নারীদের সাথে সেচ্ছায় মৃতু বরণ করা উচিত মনে করেছিল। এই ঘটনা জোহর নামে পরিচিত।
স্বামী বিবেকনন্দের জবাব
একবার স্বামী বিবেকানন্দকে আমেরিকায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় একজন কেথলিক মহিলা অপমান করার উদ্দেশ্যে স্বামীজি কে প্রশ্ন করেছিল। "স্বামীজি আমি শুনতে পেলাম আপনার দেশে জন্মের পরেই মেয়েদের মেরে দেওয়া হয়।" স্বামীজি হেসে জবাব দিয়েছিলেন, "একদম ঠিক শুনেছেন। নারীদের বদলে আমাদের দেশের পুরুষরা গর্ভ ধারন করে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ভার গ্রহন করেছে।" এই উত্তর শুনে ওই সভার সবই হেসে উঠলো। ওই মহিলা অপদস্ত হয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন।
তাই, যখন বলা হয় সতীদাহ প্রথার কথা। তখন বলতে ইচ্ছা করে, "হ্যা, হিন্দুরা নিজের কন্যাকে সতী হিসেবে দাহ করত। আর চিতা থেকে পুনরায় বিধবার ভূত এসে বিধবা ব্রত পালন করতো।"
সতী প্রসঙ্গ ও দক্ষ যজ্ঞ
ব্রহ্মার পুত্র দক্ষ। তাঁর কন্যা ছিলেন সতী। দক্ষ ছিলেন শ্রী বিষ্ণুর উপাসক এবং শৈব বিদ্বেষী। অপর দিকে তাঁর কন্যা ছিলেন মহামায়া আদ্যা শক্তির স্বরূপ এবং শিব ভক্ত। প্রজাপতি দক্ষ মহামায়ার উপাসনা করে তাঁকে নিজের কন্যারূপে জন্ম নেওয়ার বর প্রার্থনা করেন। মহামায়া দক্ষকে বলেন যে,"আমি তোমার কন্যা রূপে জন্ম গ্রহন করবো ঠিকই কিন্তু আমার স্বামী হবে শিব"— এবং তা'ই হয়। কিন্তু পরবর্তীতে পরিস্থিতি বদলে যায়। শিব কর্তৃক ব্রহ্মার পঞ্চম মুন্ড ছেদন হওয়ায় প্রজাপতি দক্ষ শিব বিদ্বেষী হয়ে ওঠে। একবার দক্ষ এক বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করে। সেখানে সকল দেবতা, ঋষি মুনিদের আমন্ত্রণ করলেও ভগবান শিবকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। দক্ষ কন্যা সতী সভায় গিয়ে এর কারণ জানতে চাইলে দক্ষ নিজ জামাতা ভগবান শিবের সকলের সামনে নিন্দা করে। মহামায়া আদ্যা শক্তির অংশ উদ্ভূতা সতী স্বামীর নিন্দা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে ক্রধ ও গ্লানিতে আবিষ্ট হয়ে নিজেকে ওই যজ্ঞের আগুনে অর্পণ করে দেয়। দক্ষের ওই মহা যজ্ঞ নষ্ট হয়ে যায় এবং সকল দেবতা ঋষি দক্ষকে ধিক্কার জানিয়ে যজ্ঞস্থল থেকে চলে যায়।
শিব পত্নীর এই পরিণাম ভগবান শিবও সহ্য করতে না পেরে তাণ্ডব নৃত্য আরম্ভ করেন। এতে সমগ্র বিশ্ব ধ্বংস হতে শুরু করে। ভগবান শিবির ক্রোধে বীরভদ্র নামক এক ভৈরব দেবতার জন্ম হয়। বীরভদ্রের মুখ ছিল অতি উগ্র, শরীর অগ্নিশিখায় ব্যাপ্ত, প্রকাণ্ড দেহ ও দীর্ঘ দন্ত। বায়ুপুরাণের বর্ণনায় বীরভদ্রের ছিল সহস্র মাথা, সহস্র চক্ষু ও সহস্র পা। তাঁর মাথা ছিল অর্ধ চন্দ্রশোভিত, পোশাক ছিল ব্যাঘ্রচর্ম। এর হাতে ছিল বহু আয়ুধ, শূল, টঙ্ক ও গদা।
বীরভদ্র অনুচরসহ দক্ষযজ্ঞে উপস্থিত হলে, মহাকালীও বীরভদ্রের সাথে যোগ দেন। বীরভদ্র তাঁর রোমকূপ থেকে রৌম্য নামক রুদ্রতুল্য অসংখ্য গণ সৃষ্টি করেন। পরে তাদের সাথে নিয়ে ইনি যজ্ঞের সমস্ত উপকরণ চূর্ণ, উৎপাটন ও দগ্ধ করে সকলকে প্রহার করতে থাকেন। এই সময় দক্ষের মস্তক ছিন্ন হয়। ইনি দক্ষপত্মীদেরও প্রহার করেন। এই সময় দেবতাদের প্রার্থনায় বিষ্ণু এসে বীরভদ্রকে নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু অকৃতকার্য হয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। অবশেষে ভগবান ব্রহ্মা এসে বীরভদ্রের স্তুতি করে তাঁকে শান্ত করেন। ওই দিকে ভগবান শিব সতীর দেহ ঘাড়ে তুলে বিশ্ব ধ্বংস করতে বেরিয়ে যান। শ্রী হরি বিষ্ণু সতীর দেহ খন্ডে খন্ডে কর্তন করেন এবং সেই খণ্ডগুলো শক্তি পিঠে পরিণত হয়। সেই শক্তি পিঠ কে রক্ষা করতে আবার শিবির বিভিন্ন ভৈরব উৎপন্ন হয়।
পাশ্চাত্য শ্বন সংস্কৃতি:
এই ছিলো সতী প্রসঙ্গ এবং স্বামীর প্রতি সতীর আত্ম বলিদান। স্বামীর প্রতি পত্নীর এই ত্যাগ ও ভালোবাসা পাশ্চাত্য দেশের মানুষের কাছে একপ্রকার কুসংস্কার। আজও পাশ্চাত্য দেশে বহু ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী বিবাহ অতিরিক্ত আলাদা আলাদা সম্পর্ক থাকে। এমনকি দুইজন এই বিষয়ে অবগতও থাকে। এটাকে তারা Free Choice বলে। বিয়ের আগেই দুইজন নারী পুরষ এক সাথে স্বামি স্ত্রীর মতো থাকে । একে তারা 'লিভিং রিলেশন' বলে। একে আমরা শ্বন সংস্কৃতি বলি। শ্বন অর্থাৎ কুকুর, কুকুর বিড়াল যেভাবে মেলামেশা করে সেইভাবেই 'লিভিং রিলেশনে বাস করা।
যেহেতু শ্বন সংস্কৃতি ভারতীয় সমাজের মাপকাঠিতে গ্রহনযোগ্য নয়। সেহেতু তারা ভারতীয় সমাজের মাপকঠি-কেই বদলাতে নানা রকম কুযুক্তি পেশ করে। পাশ্চাত্য শিক্ষা ও পাশ্চাত্য অনুপ্রাণিত ভারতীয়রা নিজেদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে এই রকম ষড়যন্ত্রের অংশ গ্রহণ করে।
উপনিবেশ স্থাপন করা হয়েছে ভারতের সাথে চুক্তি করে ব্যাবসা করার উদ্দেশ্যে। সেখানে তারা সংস্কৃতির সংস্কার, শিক্ষার সংস্কারে তারা কিভাবে হস্তক্ষপ করলো? এই সব কিছুই তাদের রাজনৈতিক অনুকূল ষড়যন্ত্র। এই সব কিছুই ছিলো ম্যেকোলের মিনিটের Infiltration Theory (অনুপ্রবেশ তত্ত্ব) -র প্রভাব। যা আমাদের দেশের কিছু বামপন্থী লেখকের কারসাজির দ্বারা সম্ভব হয়েছে। উপরন্তু আমাদের প্রতিবেশী শত্রু দেশের ইসলামিক এজেন্ডা ধারী শক্তিও এর পেছনে কোমড় বেধে পড়ে আছে।
উপসংহার
এক কথায় ফাকা মাঠে গোল দিয়ে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ও তাঁদের পদ লেহনকারী চাটুকাররা নিজেদের ফাঁপা কৃতিত্বের বিজয় পতকা উত্তোলণ করে আমাদের মগজ ধোলাই করছে। যা কখনো ছিলোই না, সেটাই নির্মূল করার কৃতিত্ব নিচ্ছে। যারা নিজেদের চক্ষুস প্রমাণ, অভিজ্ঞতা এবং শাস্ত্রীয় সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্যের লেখা ইতিহাসের গুরুত্ব দেয়। তারা নিশ্চিত মূর্খ এবং মানসিক দাস। ভারতীয় নারীর তিনটি পরিণীতি পিতার গৃহে কন্যা, স্বামীর গৃহে সধবা এবং স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবা। পাশ্চাত্য দেশে এমন কোনো পরিণীতি নেই। স্বামীর মৃত্যুর পর নিজের সন্তানদের ছেড়ে বিধবারা আবার নতুন করে বিবাহ করে। সন্তানদেরও মা বাবার প্রতি কোনো দায় দায়িত্ব নেই। তারা যৌবন প্রাপ্ত হলেই আলাদা হয়ে যায়। একবার ভারতীয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।
"Do you live with your Parents. Is it true? It that common in India for older children to live with their parents? common India to live with your Parents?" আপনি আপনার পিতামাতার সঙ্গে বসবাস করেন! এটা কি সত্যি? ভারতে কি বড় (প্রাপ্ত বয়স্ক) বাচ্চাদের জন্য তাদের বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করা সাধারণ ব্যাপার?
ঐশ্বরিয়া রাই খুব সরল অথচ দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছিলেন। তিনি সহাস্য মুখে জবাব দিয়েছিলেন,
"It is fine to live with your Parents, and it's also common in India that we don't have to take appointmets with our parents to meet for Dinner." (পিতামাতার সাথে বসবাস করা ভাল, এবং এটি ভারতেও খুবই সাধারণ ব্যাপার, আমাদের পিতামাতার সাথে দেখা করার জন্য বা ডিনারের জন্য আমাদের অ্যাপয়েন্টমেট নিতে হয় না।)
এই হলো ভারতীয় নারী এবং ভারতীয় সংস্কার শুধু সনাতনী হিন্দু বলে নয়, ভারতীয় খ্রিষ্টান, ভারতীয় মুসলীমদের থেকেও পাশ্চাত্য দেশ গুলো অনেক কিছু শিখতে পারে। কিন্তু আমরা সেভাবে নিজেদেরকে তুলে ধরি না। কারণ আমাদের স্বদেশ চেতনা মরে গেছে। আমরা মনে করছি:
“নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে; কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে। ”—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এর মূল কারণ অবশ্য আমরা নিজেরাই তৈরী করেছি। শুধু তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা নিজেরা নিজেদের উন্নত করতে চেষ্টাও করিনি। আর যখনই চেষ্টা করা হয়েছে, আমাদের থেকেই কেউ উঠে দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। সঙ্গে সঙ্গে সেই দেশদ্রোহী বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছে।
0 Comments: