বিয়ের প্রতীক হিসেবে হিন্দু মেয়েদের শাঁখা সিদুর পড়তে হয়, ছেলেদের কেন নেই?
আধুনিক নারীবাদীরা নিজেদের উপস্থিতিকে জনমানসে প্রতিষ্টিত করতে কিংবা নিজেদের ক্ষমতা সমাজকে স্মরণ করিয়ে দিতে, নানান উদ্ভট প্রসঙ্গের টেনে আনেন। তারা মাঝে মধ্যেই পূরুষ বিদ্বেষ পোষণ করেন। যেমন বিয়ের প্রতীক হিসেবে হিন্দু মেয়েদের শাঁখা সিদুর পড়তে হয়, ছেলেদের কেন নেই? ছেলেদের অনেক কিছুই নারীদের মতন নয়। তাই তারা নারী। তবে এটাও প্রশ্ন হওয়া দরকার, "নারীরা গর্ভ ধারণ করে , ছেলেরা কেন করে না?" "বাসে বা ট্রামে কেন লেডিস সিট্ মেয়েদের জন্য বুক করা থাকে? ছেলেদের নেই কেন ?" Why ladies first?
ভারতের নারীবাদীরা হিন্দু নারীদের অধিকার নিয়ে বিবাহের কিছু ঋতি নীতির ওপর প্রশ্ন তুলে থাকেন। আর বাংলাদশের নারীবাদীরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে এরকম প্রশ্ন করে থাকে। মুসলিমদের একটা ঈশ্বরীয় পুস্তক তাই ওদের জবাব দিতে অসুবিধা হয় না কিন্তু হিন্দুদের সেরকম একটি মাত্র ধর্ম গ্রন্থ নেই। হিন্দুদের বেশির ভাগই দর্শন। এই শত শত ধর্ম গ্রন্থ পড়া সম্ভব নয়। তাই হিন্দুরা জবাব দিতে পারে না। আমি সেই কাজ আপনাদের জন্য সহজ করে দিচ্ছি।
হিন্দু বিবাহ প্রসঙ্গ:
হিন্দু বিবাহ প্রসঙ্গে এই নারীবাদীদের অন্যতম প্রশ্ন হলো — "বিয়ের পর বিয়ের প্রতীক হিসেবে মেয়েদের কেই শাঁখা সিদুর পড়তে হয়, কিন্তু অদ্ভূত ব্যাপার ছেলেদের বিয়ের কোনও প্রতীক বহনের দায় নেই। কেন?"
কারণ , অবিবাহিত পুরুষ ব্রহ্মচর্য পালন করে গৃহস্থ আশ্রমে প্রবিষ্ট করে। বিবাহিত পূরুষ শিখা বা টিকি কেটে গৃহস্থ হয়। বিবাহিত পুরুষ টিকি রাখে না। এটাই চিহ্ন ছিলো।
আজ এই অবান্তর প্রশ্ন গুলোর কোনো অর্থ নেই। এই সব প্রশ্ন করা হয় ভারতীয় নারীদের সমাজ বিদ্বেষী ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য।
তাদের বক্তব্যে হিন্দু সমাজ পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের মতো ছিলো। তারা বলে থাকে - এই সব সিঁদুর, আলতা, টিপ, ব্রত স্বামীর দাসত্বের প্রতীক তাই একজন আধুনিক নারীর এই সব বর্জন করা উচিত এবং সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলে দেওয়া হয় যে বিদেশী নারীরা ভারতীয় নারীদের থেকে অনেক স্বাধীন ও শক্তিশালী। বিদেশী নারীরাই ভারতীয় নারীদের আদর্শ। কেন? একজন সিঁদুর, আলতা, টিপ ও ব্রত করা ভারতীয় নারী কি বিদেশী নারীদের আদর্শ হতে পারে না?
হিন্দুরা এমনিতেই তাদের সমাজ সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন নয়। তাই, যে যাই বলে হিন্দু সেটাই স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেয়।
The KGB and the World -র কিছু তথ্য:
এই প্রসঙ্গে ইতিহাসের গভীরে প্রবেশ করে Christopher Andrew এবং Vasili Mitrokhin -র The Mitrokhin Archive part II • The KGB and the World এর কিছু তথ্য তুলে ধরতে চাই। Christopher Andrew আধুনিক ও সমসাময়িক ইতিহাসের সম্মান ও উপাধি সহ অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস অনুষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স স্টাডি গ্রুপের চেয়ারম্যান, গোয়েন্দা ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতিষ্ঠাতা সহ-সম্পাদক, হার্ভার্ড, টরন্টো এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভিজিটিং প্রফেসর এবং BBC রেডিও এবং টিভি তথ্যচিত্র উপস্থাপনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার সাম্প্রতিকতম বই হল "দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড: এ হিস্ট্রি অফ ইন্টেলিজেন্স"। The Defence of the Realm: The Authorized History of MI5, খুবই জনপ্রিয় ছিল। তার আগের পনেরটি বইয়ের মধ্যে রয়েছে আধুনিক ইতিহাসে গোপন বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ও অপব্যবহারের বিষয়ে বেশ কিছু পথ-ব্রেকিং গবেষণা।
তিনি লিখেছেন কূটনীতির কুট বুদ্ধি প্রয়োগ করে সমাজের মধ্যে কুশিক্ষা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হত এবং এসব ছিলো একটি নিয়োজিত পরিকল্পনা। তারপর সমাজ সংস্কারের নাম দিয়ে সমাজকে নিজেদের উপযোগী শিক্ষা দিয়ে অনুকূল আবহাওয়া তৈরী করা হতো। এটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। সেগুলো যথাক্রমে:
- Demoralizetion বা নৈতিক অবক্ষয়
- Destabilization বা অস্থিরতা
- Revolutionize বা বিপ্লব করা
- Normalisation বা স্বাভাবিককরণ
Demoralizetion বা নৈতিক অবক্ষয়:
এই ধাপে রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতির নৈতিক মূল্যবোধে গুলোকে নানা ভাবে আঘাত করে অনৈতিক প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়। যেমন হিন্দুদের গো, বৃক্ষ, নদীর পূজা করাকে কু সংস্কার বলা হয়। পতিব্রতা নারীদের বিলদানকে সতী প্রথার নাম দেওয়া হয়। গুরু পরম্পরাকে নষ্ট করতে গুরু প্রসাদী নামক একটি প্রতথার মিথ্যা প্রচার করা হয়। ভারতীয় সমাজ ধর্মকে ব্রাহ্মণ্যবাদ নাম দেওয়া হয়, বর্ণ ব্যবস্থাকে বর্ণপ্রথার নাম দেওয়া হয়, নাপিত, ছুতোর, মুচি, এদের নিচু জাতি হিসেবে এমন ভাবে তুলে ধরা হয়। যেন রানী ভিক্টোরিয়ার দেশে রাজা-রানী ও মুচি-মেথর একই টেবিলে বসে ডিনার করেন।
এই যে হীন্য মান্যতা তৈরী হয়েছে, তার জন্যই ভারতীয়রা নিজেদের জাত পাত ও ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই গৃহিণীকে গৃহিণী বলা যাবে না, তিনি Home Maker, দালালকে দালাল বললে কানে সেটা খারাপ শোনায়, ব্রোকার বা মিডিয়েটর বললে শুনতে ভাল লাগে। জাতে নাপিত শুনলেই নাক কুঁচকে যায়, অথচ হেয়ার স্টাইলিস্ট বললে একটা সন্মানের হাওয়া ঘরের পাশ দিয়ে বয়ে যায়। এগুলোই ডিমোরালাইজেশনের ফলাফল।
Destabilization বা অস্থিরতা:
ডিমোরালাইজেশনের পর আসে Destabilization বা অস্থিরতা। এই ধাপে ডিমোরালাইজড বা নৈতিক অবক্ষয় প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ নিজেদের moral value বা নৈতিক ভিত্তি নষ্ট হয়ে যায়। সে কোনো কিছু বলতে গেলে বা সুনাম অর্জন করতে গেলে তাকে ওই সকল আরোপ দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়।
যাহা কষ্মিন কালেও ছিল না, সেগুলোকে ফিরে পেতে মানুষ নিজের মধ্যে জাতিগত ভেদাভেদ, দলিয় মত বিরোধ তৈরী করে। এর ফলে কলহ ক্লেশ তৈরী হয়।
এর ফলে সমাজের এক পক্ষ নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, নিজেদের উপর অত্যাচারের প্রতিশোধের জন্য বিরোধ প্রদর্শন শুরু করে। অপরদিকে, দ্বিতীয় পক্ষ তাদের কে এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে উঠে আসার জন্য, কিংবা এই তথ্যকে ভুল প্রমাণ করার জন্য পরস্পর পরস্পরের বিরোধিতা শুরু করে। এ থেকেই সমাজে একটি অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।
ভেবে দেখুন, যে ইংরেজরা ভারতের সম্পদ জাহাজ বোঝাই করে ইংল্যান্ডে পাঠাচ্ছিল। তারাই এদেশের শোষিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে, এদেশের নাকি সমাজ সংস্কারকদের সাহায্যে দেশের মানুষের উপকার করেছিল। এ বড়ই অদ্ভুদ যুক্তি। এভাবে সমাজে অস্থিরতা তৈরীর পর তৃতীয় ধাপ হলো। বিপ্লব বা Revolution .
Revolutionize বা বিপ্লব:
হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরেজিওর নাম আমরা অনেকেই শুনেছি বা পড়েছি। তিনি কলকাতার হিন্দু কলেজের উপ-প্রধান ছিলেন। বলা হয় তিনি ভারতীয় যুবকদের আধুনিক পাশ্চাত্য বিজ্ঞান সম্পর্কে অবগত করিয়েছিলেন। এই যুবকরায় নব্যবঙ্গ সমাজ বা ইয়ংবেঙ্গল সোসাইটি নামে পরিচিত ছিল। ডিরোজিওর লেখা "Freedom to the slave" কবিতাটি এক সময় খুব জনপ্রিয় ছিল। এই কবিতাটি তিনি লিখেছিলেন যখন ভারতে সাম্রাজ্যবাদ এবং ইংল্যান্ডে দাসত্ব বিরোধী আন্দোলন চলছিল। আমরা এতোটুকুই জানি। কিন্তু যদি আমরা সমসাময়িক ইউরোপিয়ান, লাটিন, ও রাশিয়ান সাংবাদিকদের লেখা চিঠিপত্র বা বইগুলো ভালমতন অধ্যয়ন করি। তবে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারবো বিপ্লবের আড়ালে কিভাবে ভারতের আত্মাকে এই বিদেশীরা ধ্বংস করে এসেছে। বিপ্লবের নামে সেই যুবক নিজের এজেন্ডা চালিয়েছিলেন।
ম্যাকলে নামক এক ইংরেজ কর্মী মিনিট অন এজুকেশন ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রস্তাব রাখেন যে ভারতের সংস্কৃত ও উর্দু ভাষায় সকল গ্রন্থ গুলো এতই নিকৃষ্ট যে ওই সকল পুস্তক গুলোকে সাহিত্যের পর্যায়ে রাখা যায় না। ওই শাস্ত্রে ইশ্বর আর দেবতাদের কাহিনী ছাড়া আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান নেই। তাই, ভারতের ইংরেজী ভাষায় শিক্ষার ব্যাবস্থা করা উচিত।
Normalization বা স্বাভাবিককরণ:
Demoralized, Destabilized, Revolutionized দ্বারা ভারতীয়রা যখন নিজেদের সবকিছুকে ভুলে অন্ধের মত, এই সকল ধ্যান ধারণার দিকে ধাবিত হয়। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা, বা তাদের দ্বারা অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ হয়ে যায়। স্বাভাবিক কারণের প্রোভাবে অতি ঘৃণিত জিনিসগুলো সুস্বাদু মনে হয়, অনৈতিক নীতি গুলোও নৈতিক ও গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে।
হাত কেটে, চোখ বেধে নিধীরামকে কুস্তি প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়ে আখড়ায় নামিয়ে দেওয়া হলো। এবার যা হবার তা তো সবাই জানে। হিন্দু সমাজের সেই অবস্থা।একেই বলা হয় Normalization বা স্বাভাবিককরণ পদ্ধতি।
শাঁখা সিঁদুর বিবাহিত মহিলাদের অলংকার এবং অহংকার
এবার মূল আলোচনায় আবার ফিরে আসি। প্রথমত শাখা সিঁদুর বিবাহিত মহিলাদের কোন প্রতীক নয়। শাঁখা সিঁদুর বিবাহিত মহিলাদের অলংকার এবং অহংকার। বিবাহের পর, স্বামী-স্ত্রী এক শরীর, এক-মন, এক-প্রাণ হয়ে যায়। পুরুষেরা গুরুকুল থেকে ব্রহ্মচর্জ ব্রত শেষ করে, শিখা (টিকি) ছেদন করে, গৃহস্থ আশ্রমে প্রবেশ করে।
যেভাবে স্বালংকরারা বিভূষিত নারী পতিব্রতা সাধ্বী রূপে পূজনীয় হন। সেই ভাবেই শিখাহীন পুরুষ বিবাহিত বলে চিহ্নিত হন। বিদেশী নারীদের মত ভারতীয় নারীরা পুরুষের দাস বা পুরুষের যৌ** সঙ্গী নন। ভারতীয় নারীরা এক একটি দেবী। তারা রানী ভিক্টোরিয়ার থেকে কোনো অংশে কম নয়। তাই, দেবীর যে বসন ভূষন, রানীর যে শাসন আসন। সেটাই ভারতীয় নারীদের বসন ভূষন, ও শাসন। রানীর মতই বাইরের লোক তাঁকে স্পর্শ বা দেখতে পারে না।
পূরুষের কর্তব্য
নারীকে সুরক্ষা প্রদান করা পূরুষের কর্তব্য। বাল্য কালে পিতা, যৌবনে স্বামী এবং বার্ধক্যে পুত্রের সংরক্ষণ প্রাপ্ত নারী কখনোই পূরুষের অধীন বা দাসত্ব নয়। প্রশ্ন আস্তে পারে কিভাবে ? তবে শুনুন :নারী কখনোই পূরুষের অধীন নয়:
হিন্দুধর্মের প্রাচীন গ্রন্থ ঋগ্বেদের দশম অধ্যায়, দেবীসূক্ত স্তোত্রটিতে, সমস্ত মহাজগতের পিছনে নারীকে সর্বোচ্চ নীতি বলে দাবি করেছে। ঋগ্বেদের ১০.১২৫.৩ থেকে ১০.১২৫.৮, পর্যন্ত বেশ কিছু স্তোত্র আছে যারা নারী ছিলেন। এনাদের "ব্রহ্মবাদিনী" হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নারী পূরুষের অধীন বা দাস ছিল এমনটা নয়।
অনেক শিক্ষিত নারী ছিলেন যারা তাদের দক্ষতা ও মেধা দিয়ে পুরুষদের পরাজিত করতেন। এর মধ্যে রয়েছে গার্গী, অহল্যা, মৈত্রেয়ী, লোপামুদ্রা, ঘোষা, স্বাহা, হৈমবতী ঊমা, গৌতমী, হেমালেখা, সীতা ইত্যাদি। ঋগ্বেদ নারীদের সম্পর্কে ইন্দ্র বলেছেন:
इन्द्रश्चिद्घा तदब्रवीत्स्त्रिया अशास्यं मनः । उतो अह क्रतुं रघुम्॥१७॥
উচ্চারণ বিধি -
इन्द्रः॑ । चि॒त् । घ॒ । तत् । अ॒ब्र॒वी॒त् । स्त्रि॒याः । अ॒शा॒स्यम् । मनः॑ । उ॒तो इति॑ । अह॑ । क्रतु॑म् । र॒घुम् ॥
অর্থ :
ইন্দ্রদেব আর বলেন, নারীর মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করা খুবই কঠিন কাজ; কারণ তাদের বুদ্ধি প্রবল বেগ যুক্ত ॥17॥
এই নিয়ে একটি বিতর্ক আছে। 'রঘুম' এই শব্দটি ম্যাক্স মুলার যে অর্থে ব্যবহার করেছে , সেটি নিয়ে বেদে নারীদের কম বুদ্ধিযুক্ত বলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। বেদ মন্ত্রের শব্দের তিন ধরনের অর্থ হতে পারে: ইয়াগনিক বা অধিভৌতিক, আধিদৈবিক (মহাত্ম্যের প্রশংসা) এবং আধ্যাত্মিক। ম্যাক্স মুলার অনুবাদ করেছেন: "Indra himself hath said, The mind of woman brooks not discipline, Her intellect hath little weight."
এটি একটি ভুল অনুবাদ। কারন , এর পরের মন্ত্র রথের কথা বলছে ম্যাক্স মুলারের
অনুবাদেই দেখুন : "His pair of horses, rushing on in their wild transport, draw his
car: High-lifted is the stallion's yoke."
এই প্যাসেজটি এমন একটি দৃশ্যের বর্ণনা করে যেখানে কেউ একজন ঘোড়ার জোড়া একটি গাড়ি টেনে নিয়ে যাচ্ছে। "হাই-লিফ্টেড ইজ দ্য স্ট্যালিয়নস ইয়ক" বাক্যাংশটি ইঙ্গিত করে যে শক্তিশালী ঘোড়াগুলি একটি গাড়িকে দুর্দান্ত গতি এবং তীব্রতার সাথে টানছে।Stallion's yoke একটি পুরুষ ঘোড়ার ঘাড়ের চারপাশে স্থাপিত জোতা বা কলারকে বোঝায়। এটি একটি গাড়ি বা লাঙ্গলের সাথে সংযুক্ত করা হয় ।ঘোড়ার ঘাড়ের জোতাটি সম্ভবত উঁচু অবস্থানে রয়েছে, সম্ভবত নির্দেশ করে এর শক্তি দ্বারা টানে। এর সাথে মহিলার অল্প বুদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। একেই বলা হয় Demoralized.
'সংস্কৃত' ভাষায় প্রতিটি শব্দের একাধিক অর্থ থাকতে পারে এবং প্রতিটি জিনিসের জন্য একাধিক শব্দ থাকতে পারে। বৈদিক সংস্কৃতে শব্দগুলি উচ্চারণ চিহ্ন ('স্বর চিহ্ন') দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা তাদের অর্থকে প্রভাবিত করে। বেদ বোঝার জন্য ছয়টি বেদাঙ্গের অধ্যয়ন প্রয়োজন:
- শিক্ষা (অক্ষর, উচ্চারণ এবং তাদের তাৎপর্য),
- কল্প (আচার, আচার ইত্যাদি),
- ব্যাকরণ,
- নিরুক্ত ( ব্যুৎপত্তি),
- ছন্দ , এবং
- জ্যোতিষ (গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যা)
ঋগ্বেদের মন্ত্র :
"আমি জগতের ঈশ্বরী, ধন প্রদায়িনী। আমার জ্ঞাতা ব্রহ্মর জ্ঞাতা। যাঁদের জন্য যজ্ঞ করা হয় তাদের মধ্যে আমিই প্রথমা। বহুরূপে সর্বভূতে আমি সংস্থিতা। আমাকেই বহুস্থানে বা সর্বদেশে আরাধনা করা হয়।"
"সবার ভোজন, দর্শন, শ্রবণ ও জীবন যাপন আমার শক্তিতেই সম্ভব হয়। আমাকে যে জানে না, সে দীন, হীন ও ক্ষীণ হয়ে যায়। প্রিয় সখা, আমার কথা শোনো, শ্রদ্ধা ও সাধনের দ্বারা যে পরম বস্তু লাভ হয়, আমি তার কথাই তোমাকে বলছি।"
"ব্রহ্মদ্বেষীকে বধ করার জন্য সংহারকারী রুদ্রের ধনুকে আমিই জ্যা পরিয়ে দিই। সৎ ব্যক্তিগণের বিরোধী শত্রুগণের সাথে সংগ্রাম করে আমিই তাদের (দূর্গা , কালী রূপে ) পরাজিত করি। দ্যুলোক ও পৃথিবীতে আমি অন্তর্যামিনী শক্তি রূপে পরিচিতা।"
"আমি সেই পরম তত্ত্বের উপদেশ দিচ্ছি, দেবতা ও মানুষ যাঁর সেবা করেন। আমি স্বয়ং ব্রহ্মা। আমি যাঁকে রক্ষা করি সে সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা বানিয়ে দিই, যাঁকে ইচ্ছা করি তাকে বৃহস্পতির মত মেধাবান বানিয়ে দিই। ব্রহ্মা ভিন্ন যে আত্মা আমিই তাহা। যে আমারই স্বরূপ, তার গান করে ।এই বিশ্বের উপরিভাগের দ্যুলোককে আমিই প্রসব করে থাকি। কারণ বারি রূপ সমুদ্রে, যেখানে সমস্ত প্রাণীর উদয় ও বিলোপ হয়, সেই ব্রহ্মচৈতন্য আমার দিব্য নিবাসস্থল। সর্বভূতে আমি প্রবিষ্ট এবং বিশ্বকে আমি নিজের মায়া দ্বারা স্পর্শ করে আছি।
বায়ু যেমন নিজে থেকেই প্রবাহিত হয়, আমিই সেইরূপ স্বাধীনভাবে পঞ্চভূতের সমস্ত কার্য করে থাকি। নির্লিপ্তভাবে আমি বিশ্বের সকল বিকার (যথা : কম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, রাগ এবং ঈর্ষা ) -এর উপরে (নির্লিপ্ত ভাবে ) অবস্থান করি।
পরিশিষ্ট :
আর কি বলার আছে ? যাদের চোখ খোলা, মন খোলা , বুদ্ধি শুদ্ধ তাদের কাছে বিস্তর ভাবে বলার প্রয়োজন নেই। হিন্দু যারা জেনেও অবুঝ , শুনেও কালা , তারা হীরাকেও কাঁচের মনে করে দূরে নিক্ষেপ করবে। আপনার কি মতামত? লিখে জানাবেন।
---শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ !
0 Comments: