জপ করার জন্য রুদ্রাক্ষ, তুলসী, স্ফোটিক, পদ্মবীজ, মিক্তা, চন্দন মালা ব্যবহার করা হয় ভিন্ন ভিন্ন কাজে, ভিন্ন ভিন্ন দেবতার জন্যে ভিন্ন ভিন্ন মালা ব্যাবহার করা হয়। তবে সাধারণত জপে উল্লেখিত নানা প্রকার মালার মধ্যে যেটি জপ করতে সাধকের রুচি হয় এবং যেটি সুলভ সেই মালাই জপ করা যায়। বেশীর ভাগই কর মালা ব্যবহার করা হয়। কর মালা হলো নিজে হাতের আঙ্গুলের পর্ব। প্রতিটি আঙ্গুলে তিনটি করে পর্ব এবং ভাঁজ থাকে। আজ আমরা কর মালা জপের নিয়ম জানবো।
পূরুষ দেবতার জপের নিয়ম:
পূরুষ দেবতার জপের জন্য কর মেলাতে তর্জনী, অনামিকা, কনিষ্ঠার তিনটি পর্ব এবং মধ্যমা আঙ্গুলের এক পর্ব গ্রহন করা হয়। অপর দুই পর্ব মেরু রুপে কল্পণা করা হয়। অনামিকার মধ্য পর্ব থেকে শুরু করে কনিষ্ঠার তিন পর্ব হয়ে তর্জনীর তিনি পর্ব পর্জন্ত মোট আট বার জপ করা হয় নিম্নে ছবির দেখুন।
শক্তি মন্ত্র জপের নিয়ম
শক্তি বা দেবীর জপের জন্য কর মেলাতে মধ্যমা, অনামিকা, কনিষ্ঠার তিনটি পর্ব এবং তর্জনীর এক পর্ব গ্রহন করা হয়। অপর দুই পর্ব মেরু রুপে কল্পণা করা হয়। অনামিকার মধ্য পর্ব থেকে শুরু করে কনিষ্ঠার তিন পর্ব হয়ে অনামিকার উর্ধ পূর্ব হয়ে মধ্যমার তিনি পর্ব এবং তর্জনীর মূল পর্ব পর্যন্ত মোট আট বার জপ করা হয়।
মনে রাখার বিষয়:
মেরু লঙ্ঘন করে জপ করা উচিৎ নয়। এতে ইষ্ট ক্রদ্ধ হন। আরো জেনে রাখুন, শ্রী বিদ্যার বিশেষ বিশেষ জপের নিয়ম আছে। গুরুর কাছে মন্ত্র গ্রহন করেই জপ করা উচিৎ। নচেৎ জপের কোনো ফল দেয় না। জপের নিয়ম এই যে, জপের সময় আঙ্গুল সামান্য বাঁকা রেখে পরস্পরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করে রাখতে হয়। জপের সময় হাত বুকের কাছে রেখে কাপড় দিয়ে ঢেকে জপ করা হয়।
0 Comments: