Headlines
Loading...
খৎনা কাকে বলে? এটি একটি একটি সুন্নত না অন্য কিছু।

খৎনা কাকে বলে? এটি একটি একটি সুন্নত না অন্য কিছু।


সুন্নাত কথার অর্থ হলো "ঐতিহ্য" বা "উপায়"। ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের কাছে সুন্নাহ্ হল মুহাম্মাদ (সাঃ) দ্বারা নির্দেশিত জীবনব্যবস্থা। মুসলিমগণ বিশ্বাস করে থাকেন যে, রাসুলুল্লাহর হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) জীবন হল সর্বোত্তম আদর্শ তাঁদের নিজস্ব জীবনে অনুসরণ করার জন্য। খৎনা এরকম একটি সুন্নত। 


খৎনা কাকে বলে?

খৎনা বা Circumcision, মুসলিমদের একটি ধর্মীয় আচার, এটি একটি প্রতীকী এবং আচার-অনুষ্ঠান  যা ইসলামী বিশ্বাসের প্রতি একজন ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি চিহ্নিত করে।  সাধারণত শৈশব বা বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষের লিঙ্গ থেকে অগ্রভাগের চামড়া অপসারণ করা হয়। যদিও এই অনুশীলনটি ধর্মীয় শিক্ষার মূলে রয়েছে, এটি অনেক মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক আদর্শে পরিণত হয়েছে। খৎনা এক রকম সুন্নত বলে গণ্য করা হয়।

ইসলামে সুন্নতের তাৎপর্য একটি নিছক শারীরিক ক্রিয়াকলাপের বাইরে; এটি আধ্যাত্মিক বিশুদ্ধতা, পরিচ্ছন্নতা এবং ইসলামের শিক্ষার আনুগত্যের প্রতিনিধিত্ব করে। নবী মুহাম্মদের কর্ম ও বাণীর উপর ভিত্তি করে এই অনুষ্ঠনটিকে একটি সুন্নাহ (ঐতিহ্য) হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ইহা বাধ্যতামূলক না হলেও, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে খৎনা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়, যা ইসলাম অনুগামীদের জীবনে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উপাদানের গভীর সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে।

 খৎনা করে কি লাভ হয়?

ইসলামে খৎনা একটি ধার্মিক প্রথা, তাই এর মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় এবং সামাজিক। ধর্মীয়ভাবে, খৎনা মুসলিম হয়ে উঠলে একজন ব্যক্তি ইসলামিক ধর্মের সাথে সংযোগ গড়তে এবং সমাজে একত্র বোধ করতে পারে। খৎনা একজন মুসলিম পুরুষের জীবনে ধর্মীয় পরিপ্রেক্ষ্য থেকে একটি গৌরবময় ইসলামিক প্রতীতি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

সামাজিকভাবে, খৎনা মুসলিম সমাজে একত্রিত এবং সমাজ বদ্ধতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এটি একটি সামাজিক ও ধার্মিক অনুষ্ঠান। সমাজে একজন মুসলিম হিসেবে চিহ্নিত হওয়া এবং ইসলমিক  ভাত্রী সম্প্রীতি জন্য খৎনা একটি উপযুক্ত পথ।

খৎনা করে কি ক্ষতি হয়?

খৎনা করার সাধারিত প্রক্রিয়াতে ক্ষতি হয়তো আসতে পারে, কিন্তু এটি অধিকাংশ সময়  উপযুক্ত এবং দক্ষ অস্ত্রবিদ এবং অস্ত্রের মাধ্যমে এটা করা হয়ে থাকে। খুব সামান্য সময়ে খৎনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং অধিকাংশ সময় শিশুদের বা যুবকদের মাঝে পালিত হয়। এর দ্বারা সামান্য ব্যক্তিগত ক্ষতি হতে পারে, বা ভয়ংকর খতি হতে পারে। যেমন লিঙ্গের আবরণ মুক্ত থাকায় উক্ত স্থানে ক্ষতিকর রাসায়নিক সহজে আসতে পারে। দুর্ঘটনা জনিত কারণে ওই স্থানে HIV, সিফিলিস, গনোরিয়া, হারপিস, সিমপ্লেক্স এর মতো ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে।  এটি হানিকর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে। 

মুক্ত স্থানে নার্ভ গুলো বার বার কাপড়ের দ্বারা স্টিমুলেট হয়। যার ফলে কামুক উত্তেজনা আরো বেশী হয়। কামুক উত্তেজনা বার বার হলে আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনে বাধা দেখা যায়। 

সহিংসতা, সামাজিক মানবাধিকার লঙ্ঘন, অসুস্থতা বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, এই বিষয়গুলি জোরদার আলোচনা এবং বৈধি পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রস্তুত করা উচিত।

খৎনা কে করতে পারে? 

খৎনা প্রায়ই পুরুষ শিশুদের জন্য অনুষ্ঠিত হয় এবং ইসলামিক ধর্মে এটি সুন্নত বা প্রফেট মোহাম্মদ (সা:) এর অনুসরণ করার একটি ধার্মিক প্রথা। সম্প্রদায় অনুযায়ী, খৎনা পুরুষ শিশুর জন্য সুন্নত হিসেবে মর্যাদার একটি অংশ।

এটি তাদের জীবনে ধার্মিক প্রতিজ্ঞার একটি চিহ্নও বটে এবং ইসলাম সামাজে একটি বিশেষ সমবায় এবং ধর্মীয় বাঁধ গড়তে সাহায্য করে । যা তাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে।

কবে থেকে এর প্রচলন ছিল?

খৎনা একটি প্রাচীন প্রথা যা বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ে প্রচলিত হয়েছে। যেমন, ইহুদী খৃষ্টানদের মধ্যেও এর প্রচলন ছিল। এর প্রচলনের তারিখ বা শুরুর সঠিক সময়সীমা স্পষ্ট নয়, কারণ এটি বিভিন্ন সময়ে এবং এলাকায় বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক সংস্করণে রূপ নিয়েছে।

খৎনার প্রচলন ইসলামে বিশেষভাবে লক্ষণীয়, যেটি ইসলাম ধর্মীয় উপাখ্যান ও হাদীসের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে। ইসলামে এটি একটি সুন্নত বা উপায় বা  ঐতিহ্য হযরত মোহাম্মদ (সা:)  অনুসরণ করেছেন। অন্যান্য সম্প্রদায়ে ও প্রাচীন সময়ে খৎনা প্রচলিত ছিল বলা হয়েছে, সেই সকল ধর্মগ্রন্থ, এবং ঐতিহাসিক তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

পরিশিষ্ট 

খৎনা, যা একজন পুরুষ শিশুর জন্য সম্পন্ন হতে পারে, একটি ঐতিহাসিক এবং ধার্মিক অনুষ্ঠান। এই পুরানো প্রথা ইসলামিক সম্প্রদাযে সুন্নত হিসেবে প্রকাশ পায়, যেটি প্রফেট মোহাম্মদ (সা:) এর অনুসরণ করে। খৎনা একজন মুসলিম পুরুষের ধার্মিক প্রতিজ্ঞা এবং একত্রিতি প্রতীতি হিসেবে বিশেষভাবে গড়ে তোলে।

খৎনার প্রক্রিয়াটি অনেক সময় বাচ্চাদের শিশুতে স্থানীয় সাধুবাবা বা চিকিৎসকের দ্বারা পরিচালিত হয়, এবং এটির মধ্যে ক্ষতি হতে পারে এমন মৌলিক প্রস্তুতি হয়। সামাজিক দিকে দেখা গেলে, খৎনা সম্প্রদায়ের একটি অংশ হিসেবে তার উপকারিতা তুলে ধরতে সহায়ক হতে পারে, তাদের অন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কীত এবং সম্প্রদায়ের বন্ধন গড়তে।

এই ধার্মিক অনুষ্ঠান এবং সামাজিক প্রচলণ এর মধ্যে খৎনা একটি ধর্মীয় বিষয়, যা সম্প্রদায়ের বা সৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও আলোচনার মধ্যে সৃষ্টি করে।

H. R. Sarkar is a dedicated blogger and entrepreneur with expertise in creating digital products and Blogger templates. Managing websites like TechaDigi.com and Hinduhum.net, they bring creativity and technical proficiency to their projects. Through their YouTube channel, Lost Eternal Science, H. R. Sarkar explores the fusion of Hindu spirituality and science, offering unique insights to their audience. With a passion for innovation, they strive to inspire and educate through their work.

0 Comments: