
দ্বীন এ ইসলাম কি সহিষ্ণতার কথা বলে?
প্রথমেই বলে রাখি, মূলত হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন উৎসব, রীতি, সংস্কৃতি নিয়ে আমরা চর্চা করে থাকি। ইসলাম বা অন্য কোনো মাজহাব নিয়ে আমাদের এই ব্লগ সাইট নয়। যেহেতু ইসলাম ধর্ম বার বার নিজেকে সহিষ্ণুতা এবং শান্তির ধর্ম হিসেবে প্রচার করে। সেহেতু ইসলামের সহিষ্ণুতা এবং শান্তির শিক্ষা সম্পর্কে জানতে পবিত্র কোরআন শরীফ পর্যালোচনা করা হলো।
হিন্দুরাই নিজেদের ধর্মকে কেবমাত্র Life Style বলে। কিন্তু হিন্দু ধর্ম কেবমাত্র জীবন শৈলী নয়। প্রত্যেক ধর্মই নিজের নিজের জীবন শৈলী থাকে। কিন্তু শ্রেষ্টত্বের দাবি করলে তখন সেটা আলাদা অর্থ নেয়।
$ads={1}
ক্ষমা, দয়া, এবং সহনশীলতা ইশ্বরের দান। প্রত্যেক মানুষের মনে এই তিনটি গুণ কম বেশী থাকে। প্রতিটি ধর্মেই এর শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু কোন ধর্মের শিক্ষা আসল আর কোন ধর্মের শিক্ষা কেবলই পুষ্পিত বাক্য। সেটা বোঝার জন্য ইশ্বর প্রদত্ত বিবেক'ই যথেষ্ট।
এই পোস্ট পড়ার পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস আদৌ ইশ্বর প্রদত্ত সহনশীলতার গুণ বহন করে কি না। আপনার নিজ মতামত, বা দৃষ্টি ভঙ্গি থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানান। আমরা নিজের ভুল স্বীকার করে তাহা সংশোধন করবো।
ইসলাম ধর্ম কি?
ইসলাম ধর্ম কোনো ধর্মই নয়, এমন নয়। সব কিছুরই ধর্ম আছে বটেই তবে জেনে রাখা প্রয়োজন, ইসলাম একটি মাজহাব বা সমাজ বা সম্প্রদায়। যারা প্রচলিত আব্রাহামিক ও পেগন থেকে আলাদা হয়ে নতুন সংস্কৃতি তৈরী করেছে। ধর্ম শব্দটি সংস্কৃত।
যদিও মুসলিম সম্প্রদায় নিজেদের অস্তিত্ব সৃষ্টির আদি কাল থেকে হয়েছে বলে প্রচার করে। তবে মাজহাবের এই প্রচার ও প্রসার আজ থেকে প্রায় 1400 বছর আগে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাত ধরে শুরু হয়েছে। হজরত মুহাম্মদের আগে এই আল্লহ অস্তিত্বে ছিলো না।
এর প্রমাণ কোরানের বহু স্থানে দেখতে পাওয়া যায়। যেমন, আল্লহ নিজেই বলেছেন আরবের বিভিন্ন দেব দেবীদের কথা, অগ্নী পূজক, বহু ইশ্বর উপাসকদের কথা।
এর থেকে প্রমাণ হয় যে 1400 বছরের আগে মানুষ আল্লাহর আরাধনা করতো না। অর্থাৎ সৃষ্টির আদি কাল থেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত ছিলো , এই বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
যদি কুরআন সৃষ্টির আদিকাল থেকেই থেকে থাকতো, বা আল্লাহ উদার, সর্ব শক্তিমান, করুণাময় বা দয়ালু হতেন, তবে তিনি বিভিন্ন দেবী বা দেবতাদের উপাসনা নিয়ে আপত্তি না করতেন।
কারণ, যিনি সব কিছুই নিয়ন্ত্রন করেন, তাঁর নিয়ন্ত্রনের বাইরে কোনো কিছু কিভাবে পরিচালিত হতে পারে? এর জবাব আমি আমার মুসলীম বিজ্ঞদের জন্য ছেড়ে দিলাম।
যেভাবে ভগবত গীতায় শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন :
যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্ মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ।
$ads={2}
অর্থাৎ — "যে, যে প্রকারে, (যে প্রয়োজনে, যে ফলের অর্থী হয়ে) আমাকে উপাসনা করে, তাকে আমি সেই ফলদানের দ্বারা অনুগৃহীত করি। কারণ, তাঁরা সর্ব প্রকারে আমারই পথ অনুসরণ করে।"
যে ভাবে ভিন্ন ভিন্ন নদী ভিন্ন ভিন্ন পথে এক গন্তব্য সমুদ্রে মিলিত হয়। সেভাবেই ভিন্ন ভিন্ন পথে ভিন্ন ভিন্ন মত অনুসরণ করে সকলে একই ঈশ্বরের দিকে যায়। এটাই হিন্দু ধর্মের ঈশ্বরের বার্তা।
আল্লাহ তাঁর মুসলিম উম্মাদের বলেছেন- তোমরা ইসলাম প্রচারের জন্য সংগ্রাম করো। সংগ্রাম কার বিরদ্ধে? কিসের সংগ্রাম? যেখানে তাঁর আজাবে দুনিয়া ওলোট পালোট হয়ে যায়। মানুষ মানুষে প্রেমের দুটি কথায় বশ হয়ে যায়। সেখানে কেন রক্ত ক্ষরণ করার কি প্রয়োজন?
তাই আমি মনে করি 'দ্বীন এ ইসলাম' একটি অপরিণত ধর্ম মত। যেখানে আল্লাহ নিজেকে ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ বা দেবতার উপাসনা পাপ বলে শিক্ষা দিয়েছন। সেই ধর্মে সহিষ্ণুতা কিভাবে থাকবে আমার প্রশ্ন সেখানেই।
এমন অপরিণত মতাদর্শের কাছে সহিষ্ণুতা ধর্ম আশা করা যায় না। তারা হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন উৎসবে দেবী দেবতাদের নিয়ে ফাজলামি করে। এটা খুবই খারপ লাগে।
ইসলামের জন্ম ১৪০০বছর আগে হয়েছে। যা কয়েকশ বছর আগে আফগান ও মুঘলদের হাত ধরে ভারত তথা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কৌশলে প্রবেশ করেছে।
সেই নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের গর্ব করার কিছু আছে বলে মনে হয় না। এটাতো আরব দেশের গর্ব যে ওরা আমাদের দাসত্ব স্বীকার করিয়েছে।
ইসলামের উৎপত্তি (Genesis of Islam):
হযরত মুহাম্মদ প্রথম জীবনে ছিলেন আরবের একজন ব্যবসায়ী মহিলার স্বামী। খুব কম বয়সে তিনি খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদকে বিয়ে করেন এবং তাঁর ব্যাবসার প্রসার করেন। বেগম খাদিজা সেই সময়ের একজন বড় মহিলা ব্যবসায়ী ছিলেন। হযরত মুহাম্মদ এর সততা, কাজের প্রতি নিষ্ঠা, ও বুদ্ধিমত্তা তাঁকে আকৃষ্ট করে এবং তৎকালীন সামাজিক চুক্তি ভিত্তিক বিবাহ হয়।
একদিন হযরত মুহাম্মদ (স:) হেরা নামক একটি পাহাড়ের গুফায় এক দিব্য পুরুষের দর্শন পান। সেই দিব্য পুরুষ দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান এবং সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি আসেন। খাদিজা বিনতে খোয়াইলির ভাই একজন খ্রিস্টান ছিলেন। তিনিই জানান যে ওই দিব্য পুরুষ আসলে জিব্রায়েল। জিব্রাইল হযরত মুহাম্মদকে (স:) যা কিছু বলতেন, তাহাই কুরআন। এই সব কিছু বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
মুসলিদের বিশ্বাস (১)আদম থেকে যীশু খ্রীষ্ট পর্যন্ত যে সকল নবী এসেছেন এবং তাঁদের সময়ে যে সকল ঈশ্বরীয় কিতাব বা ধর্মশাস্ত্র ছিলো। আল্লাহর নবী মুহাম্মদের কোরআন আসার পর, সব কিতাব গুলো খারিজ (Dismissed) করা হয়েছে। আবার মুসলিমদের এটাও দাবী যে (২) দ্বীন-এ-ইসলাম সৃষ্টির আদি থেকে ইসলামই একমাত্র ধর্ম ছিলো।
—এই দুটি পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধ যুক্তি। সৃষ্টির আদি থেকে ইসলামই একমাত্র ধর্ম ছিলো। তবে যীশু খ্রীষ্ট পর্যন্ত যে সকল নবী এসেছেন তাঁরা কোন্ ধর্ম পালন করতো?আর যদি শেষ নবী ধর্ম সংস্কারক হিসেবেই এসে থাকেন তবে তাঁর নাম (অর্থাৎ ইসলাম) হোলো কিভাবে? আগেকার কোনো ধর্মপুস্তক গুলো তো ইসলাম কথাটি নেই।
আল্লাহ অন্য ঈশ্বর বিশ্বাসীদের সম্পর্কে কি সহিষ্ণু হতে বলেছেন:
উপরোক্ত এই দুই ধারনার কারণেই মুসলিমদের সঙ্গে সকল ধর্মীয় মত, পন্থ ও সমপ্রদায়ের মধ্যে রেষারেষি হয়। যখনই পুরাতন ধর্মীয় বিশ্বাসগুলো আপনার নতুন ধর্মীয় বিশ্বাসের দ্বারা খন্ডিত হয়, এবং আপনি নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসকে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উর্ধ্বে তুলে ধরেন। স্বভাবতই সেখানে অন্য ঈশ্বর বিশ্বাসীদের প্রতি সহিষ্ণুতার কোন সম্পর্ক থাকে না।
যখন কিছু কট্টরপন্থী মুমিন প্রচার ও দাওয়াতের নামে অন্যান্য ধর্মীয় অনুভতিতে আঘাত করে এবং এর প্রতিবাদে যখন অমুসলিমরা তাদের তাদেরই ভাষায় প্রত্যুত্তর করে। তখন মুসলিম প্রচারকরা বলে, "আমাদের ধর্ম অন্য ধর্মের ঈশ্বরের অপমান করতে শেখায় না। আমরা কেবল সত্য ঈশ্বরের প্রচার করছি মাত্র।" তখন ওই মুসলিম প্রচারকরা আল আনামের ১০৮ নম্বর আয়াত উদ্ধৃত করে:
"তোমরা তাদেরকে গালমন্দ করো না, আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তারা ডাকে, ফলে তারা গালমন্দ করবে আল্লাহকে, শত্রুতা পোষণ করে অজ্ঞতাবশত। এভাবেই আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য তাদের কর্ম শোভিত করে দিয়েছি। তারপর তাদের রবের কাছে তাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তিনি জানিয়ে দেবেন তাদেরকে, যা তারা করত।" —আল-বায়ান থেকে গৃহীত
শুনে মনে হয় সত্যিই তো, আরবের ঈশ্বর সহিষ্ণুতার কথাই তো বলছে।
এই আলোচ্য আয়াতটি একটি বিশেষ ঘটনার সময় নাযিল হয়েছিল। এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং মৌলিক সমস্যা নির্দেশিত হয়েছে, "যে কাজ করা বৈধ নয়, সে কাজের কারণ ও অজুহাত হওয়াও বৈধ নয়।" যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিমকে তার উপাসনা ও ঈশ্বর নিয়ে বাজে কথা বলে সেই অমুসলিমও ওই মুসলিমের আল্লহ ও তার উপাসনার ওপর বাজে কথা বলবে।
বলাই বাহুল্য, এখানে অমুসলিমের দোষ আগে গণ্য হবে। ইশ্বরের প্রতি ওই মুসলিম ব্যক্তির অপমানজনক কথাই মূল কারণ ও প্রাথমিক পদক্ষেপ ছিলো। যা ওই অমুসলিমকে প্ররোচিত করেছিল।
আবার যেখানে আল্লহ নিজেই অন্য ইশ্বরের উপাসনাকে শিরক বলেছে। সেখানে সহিষ্ণুতা এবং বোঝাপড়ার কোনো অবকাশ দেখিনা।
আলোচ্য আয়াতটি যে বিশেষ ঘটনার সময় নাযিল হয়েছিল, সেই সময় কুরাইশদের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ ও তাদের ইশ্বর নিয়ে বাদ বিবাদ করতেন। তখন কুরাইশ সর্দাররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাবধান করে বলেন, "হয় তুমি আমাদের উপাস্য প্রতিমাদেরকে মন্দ বলা থেকে বিরত হও, না হয় আমরা তোমার প্রভুকে গালি দিবো।” এরই পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য আয়াতটি নাযিল হয়।
অর্থাৎ হযরত মোহাম্মদ নিজের ধর্ম প্রচারের জন্য কুরাইশ সর্দারদের ঈশ্বরদের সম্পর্কে এমন কিছু বলেছেন যেটা কোরাইশরা ভালো চোখে দেখেননি। আর সেটা নবী মুহাম্মদ আল্লাহর নির্দেশেই করতেন। কারণ তিনি তো সেই জন্যেই নিযুক্ত হয়ে ছিলেন।
উক্ত আলোচ্য বিষয় থেকে এই অংশটা বাদ দিয়ে বিচার করলে মনে হবে, যেন কুরাইশ রাই অসহিষ্ণু। তাই এক কাজ করুন। যে সকল কথা কোরআনে লেখা আছে। আল্লাহর জায়গায় অন্য কোন দেবতার নাম, নাস্তিক, মূর্তিপোজক, মুরাদ, ইত্যাদি নামের জায়গায় মুসলমান। এবং যেখানে মুসলমান লেখা আছে সেখানে হিন্দু বলে আয়াতগুলো পড়ে দেখুন। আপনার বিবেকই সত্য বিচার করে দেবে,
আমার মুসলিম ভাইরা আরেকটি আয়াত নিয়ে নিজেদের ইসলামিক অর্গানাইজেশনকে সহনশীল হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেন।
—এটি কাফেরদের প্রতি সহনশীলতার বার্তা হিসেবে দেখানো হয়। এর অর্থ হলো— "আমার ধর্ম আপনার ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং আলাদা।" অর্থাৎ যার ধর্ম যার যার। কিন্তু এটি সম্পূর্ন সত্য নয়। এর আগেও কিছু বলা হয়েছে।
"আমি তোমাদের দেবতাদের উপাসক নই এবং তোমরা আমার ঈশ্বরের উপাসক নও। আমি তোমাদের দেবতাদের পূজা করতে পারি না এবং তোমরাও আমার ঈশ্বরের উপাসনা করতে প্রস্তুত নও, অতএব, আপনি এবং আমি কখনই এক এবং একই পথে চলতে এবং চলতে পারি না।"
এই উক্তিটি স্পষ্ট করে, এটি কাফেরদের প্রতি আল্লাহর সহনশীলতার বার্তা নয়, বরং যতক্ষণ তারা কাফের থাকবে ততক্ষণ তাদের প্রতি এটি একটি বিচ্ছিন্নতার ঘোষণা। আপনি যতই সহমর্মিতা সর্বধর্ম সমন্বয়ের বড় বড় কথা বলুন। তারা কখনোই আপনার দেবতা বা ঈশ্বরকে মাথা নুয়ে প্রণাম করবে না। কারণ, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ বা মাবুদ নাই।
— এর আয়াতের উদ্দেশ্য হল কাফেরদের সম্পূর্ণভাবে হতাশ করা এবং পরিশেষে যে দ্বীনের ব্যাপারে আল্লাহর রসূল ও তাঁর অনুসারীদের সাথে ইসলামের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চুক্তিবদ্ধ করা। এই সূরার পর পরপর আপনার কি ধারণা হয়েছে, তাহা অবশ্যই কমেন্ট করে জানান।
সূরা ইউনুসে বলা হয়েছে:
وَ اِنۡ کَذَّبُوۡکَ فَقُلۡ لِّیۡ عَمَلِیۡ وَ لَکُمۡ عَمَلُکُمۡ ۚ اَنۡتُمۡ بَرِیۡٓـــُٔوۡنَ مِمَّاۤ اَعۡمَلُ وَ اَنَا بَرِیۡٓءٌ مِّمَّا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۴۱﴾
"যদি এই লোকেরা আপনাকে অস্বীকার করে তবে তাদের বল: আমি আমার কাজের জন্য দায়ী এবং আপনি আপনার জন্য দায়ী; আমি যা করি তার জন্য আপনি দায়ী নন এবং আমি যা করি তার জন্য আমি দায়ী নই। যা তুমি কর." (v. 41)। একই সূরায় আরও বলা হয়েছে:
قُلۡ یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اِنۡ کُنۡتُمۡ فِیۡ شَکٍّ مِّنۡ دِیۡنِیۡ فَلَاۤ اَعۡبُدُ الَّذِیۡنَ تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ وَ لٰکِنۡ اَعۡبُدُ اللّٰهَ الَّذِیۡ یَتَوَفّٰىکُمۡ ۚۖ وَ اُمِرۡتُ اَنۡ اَکُوۡنَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۰۴﴾ۙ
“হে নবী, বলুন: হে মানবজাতি, যদি তোমরা আমার ঈমানের ব্যাপারে এখনও সন্দেহের মধ্যে থাকো, তবে জেনে রাখ, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের ইবাদত কর আমি তাদের ইবাদত করি না, বরং আমি একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি। তোমার মৃত্যু ঘটানোর ক্ষমতা কার আছে।" (v. 104)।
উপসংহার:
উক্ত আলোচনা গুলোর রেফারেন্স ও অথেনটিক সোর্স দেওয়া হয়েছে। কোনো কিছুই বানোয়াট, বিকৃত বা অতি রঞ্জিত নয়। কোনো ধর্মীয় ভাবাবেগকে আহত বা ছোটো করা এই ব্লগ পোস্টের উদ্দেশ্য নয়।
ধর্ম ও দ্বীন বা রিলিজিয়ন গুলো এক জিনিস নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা, বোঝাপড়া ও সমীক্ষা দরকার। হতে পারে আমার দৃষ্টিতে যা খারাপ মনে হচ্ছে সেটার অন্য কোনো দৃষ্টি ভঙ্গি আছে। আমি বিশ্বাস করি, সবাইকে একই রঙের চশমায় পরখ করে পক্ষপাতিত্ব করা উচৎ নয়। সবার আগে নিজের দোষ দেখা উচিত।
আমি খুব কম জানি, তাই আমার বিশ্লেষণে ভূল ত্রুটি থাকতেই পারে। সেই অযাচিত ভূল ত্রুটি মার্জনা করবেন।আমার অজানা প্রশ্ন গুলোর যথা যথ উত্তর আমার মুসলিম ভাইদের কাছে জানার আগ্রহ করছি।
শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ!
0 Comments: